নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলা সত্য বাঙালি সত্য, সত্য পাঁচ হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্য। অগ্রহায়ণ সেই সত্যের একটি রূপ, বঙ্গাব্দের একটি বর্ণাঢ্য মাস। বাংলার ঐতিহ্য-ইতিহাস বলে – একদা অগ্রহায়ণই ছিল বাংলা বর্ষ গণনার প্রথম মাস। সময়ের বিবর্তনে আজ সেটি পরিবর্তিত হলেও বাঙালি সংস্কৃতি ও উৎসবে অগ্রহায়ণ শেকড় চেনার, নিত্য নতুন মাত্রা যোগের মাস। হাক্কানী ভক্ত-অনুসারীগণের নিকট অগ্রহায়ণ আনন্দের মাস, পবিত্র মাস। এই মাসেই বাংলার বুকে আবির্ভূত হয়েছিলেন হাক্কানী দুই মহান সাধক পুঁরুষ সূফী সাধক আনোয়ারুল হক – সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দিন। বাংলা, অগ্রহায়ণ এবং হাক্কানী একসূত্রে মিশেছে। হাক্কানী দর্শন ও আদর্শের আলোকে সত্যমানুষ হয়ে ওঠার প্রত্যয় ও অঙ্গীকার নিয়ে প্রতিবছর আসে ‘হাক্কানী বর্ষ – অগ্রহায়ণ’। সত্য অনুসন্ধানীগণের নিকট এখানেই রয়েছে প্রকৃষ্ট নিদর্শন।
সূফী সাধক আনোয়ারুল হক – সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দিন আবির্ভাব আবহে সমগ্র বাংলায় অবস্থিত হাক্কানী আস্তানা, দরবার ও খানকা শরীফে অগ্রহায়ণ মাস উদযাপিত হলো ভক্ত সমাবেশ, শ্রদ্ধা নিবেদন ও শান্তি সমাবেশের মধ্য দিয়েঃ

অগ্রহায়ণ উদযাপনে মিরপুর আস্তানা শরীফ
মিরপুর আস্তানা শরীফ মাসব্যাপী শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে। পহেলা অগ্রহায়ণ ১৪২২, ১৫ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার হতে ৩০ অগ্রহায়ণ’২২, ১৪ ডিসেম্বর’১৫ সোমবার পর্যন্ত মাসব্যাপী শান্তি সমাবেশের বিশেষ আয়োজনের মধ্যে ছিল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে দুই মহান সাধকের মাজার চান্দপুর শরীফ ও ফরিদপুর শরীফে যাত্রা, হাক্কানী বর্ষবরণ, ভক্ত সমাবেশ, শান্তি সমাবেশ বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ, ভাবসঙ্গীত পরিবেশন।
গত পহেলা অগ্রহায়ণ, ১৫ নভেম্বর রবিবার বিকেল ৪.২১ মিনিটে মিরপুর আস্তানা শরীফ প্রাঙ্গনে মানবতার প্রতীক সবুজ তিনটি পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় হাক্কানী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। হাক্কানী মিশন বিদ্যাপীঠ ও মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণের শ্রদ্ধা নিবেদনে পতাকা উত্তোলন করেন হাক্কানী মিশন বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ সূফী শেখ আমজাদ হোসেন, হাক্কানী মিশন ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি শাহ্ সূফী মুহাম্মদ মেজবাহ উল-ইসলাম এবং মিরপুর আস্তানা শরীফ মহিলা ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি খালেদা খানম রুনু। ব্যান্ড দলে বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীগণ হলেন – মোঃ আরিফ হোসেন, মোঃ মাসুদ রানা, মোঃ মামুন হোসেন, মোঃ নাঈমুর রহমান, রূপা আক্তার, রোমানা আক্তার ও সাথী আক্তার।
১৪ নভেম্বর শনিবার মিরপুর আস্তানা শরীফের ভক্ত-ও অনুসারীর একটি দল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনে কিশোরগঞ্জস্থ সূফী সাধক আনোয়ারুল হক এঁর মাজার চান্দপুর শরীফে পৌঁছান ভোর ৩.৫৫ মিনিটে এবং যথাযথ কৃতজ্ঞতা ও ভক্তির সাথে মহান সাধক এঁর পবিত্র রওজায় গিলাফ ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ ও মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
পহেলা অগ্রহায়ণ বিকেল ৪.৩১ মিনিটে ‘হক আনার প্রশংসা তোমার, কৃপা করে ক্ষমো আমায়’ এই হাক্কানী বন্দনা গীত পরিবেশন করেন হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমী পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহ্ শওকত আলী খান, সদস্য ডা. সুমাইয়া সুলতানা সুমি ও আব্দুল কাদের টিটু। বিকেল ৪.৪৫ মিনিটে হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ করেন মিরপুর আস্তানা শরীফ মহিলা ব্যবস্থাপনা সংসদের মহাসচিব শাকিলা ইসলাম। এরপর শুরু হয় বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ পর্ব।
উল্লেখ্য এবারে অগ্রহায়ণ শান্তি সমাবেশের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সূফী সাধক আনোয়ারুল হক এঁর বাণী – ‘নিজের বিচার নিজে কর রাত্র-দিনে’, ‘মুর্শিদ দর্শনের মাঝে আত্মদর্শন আর আত্মদর্শনের মাঝে আল্লাহ্ দর্শন’ এবং ‘যে ব্যক্তি মনে ও মুখে এক নয় তার ইবাদত শুদ্ধ নয়’ এই তিনটি বাণীর উপর ২৯ দিন চলে বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ। এরই ধারাবাহিকতায় গত পহেলা অগ্রহায়ণ হতে ১০ অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ‘নিজের বিচার নিজে কর রাত্র-দিনে’ এই বাণীর উপর মোট ৮৮ জন আলোচক তাৎপর্য অন্বেষণ পর্বে অংশগ্রহণ করেন। ১১ অগ্রহায়ণ হতে ২০ অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ‘মুর্শিদ দর্শনের মাঝে আত্মদর্শন আর আত্মদর্শনের মাঝে আল্লাহ্ দর্শন’ এই বাণীর উপর মোট ৭৫ জন আলোচক তাৎপর্য অন্বেষণে অংশগ্রহণ করেন। ২১ অগ্রহায়ণ হতে ২৮ অগ্রহায়ণ পর্যন্ত ‘যে ব্যক্তি মনে ও মুখে এক নয় তার ইবাদত শুদ্ধ নয়’ বাণীর উপর মোট ৬৯ জন আলোচক তাৎপর্য অন্বেষণ পর্বে অংশগ্রহণ করেন।
১৭ অগ্রহায়ণ সূফী সাধক আনোয়ারুল হক-এঁর শুভ আবির্ভাব উদ্যাপনে মিরপুর আস্তানা শরীফ ‘ভক্ত সমাবেশ’- এর আয়োজন করে। বিকেল ৪ টার পূর্বেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত হাক্কানী আস্তানা, দরবার ও খানকা শরীফ হতে আগত হাক্কানী ভক্ত ও অনুসারীগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপসি’তিতে ভরে উঠে মিরপুর আস্তানা শরীফ। ৪.০১ মিনিটে ‘হক আনার প্রশংসা তোমার, কৃপা করে ক্ষমো আমায়’ এই উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমী পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহ্ শওকত আলী খান, সদস্য ডা. সুমাইয়া সুলতানা সুমি ও আব্দুল কাদের টিটু। সন্ধ্যা ৫.১৩ মিনিটে ছিল সান্ধ্যকালীন মঙ্গল প্রার্থনা ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন। দরবারের পশ্চিম পার্শ্বে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অংশগ্রহণ করেন হাক্কানী মিশন বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ সূফী শেখ আমজাদ হোসেন, হাক্কানী মিশন ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি শাহ্ সূফী ড. মুহাম্মদ মেজবাহ উল-ইসলাম এবং মিরপুর আস্তানা শরীফ মহিলা ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি খালেদা খানম রুনু। দরবারের পূর্ব পার্শ্বে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অংশগ্রহণ করেন বাহাখাশ মহাসচিব শাহ্ শাহনাজ সুলতানা ও হামিবা মহাসচিব শাহ্ এন.সি. রুদ্র এবং অগ্রহায়ণ উদ্যাপন পর্ষদের সদস্যবৃন্দ। তাঁরা হলেন -১। শাহ্ শওকত আলী খান (আহ্বায়ক) ২। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (সদস্য) ৩। আবদুল কাদের টিটু (সদস্য), ৪। মহিউদ্দিন সরকার (সদস্য), ৫। সফিউল আলম খোকন (সদস্য), ৬। সাকিলা ইসলাম (সদস্য), ৭। মমতাজ বেগম (সদস্য), ৮। শাহ্ আবেদা বানু তরু (সদস্য), ৯। শাহ্ তৌহিদা জেসমিন (সদস্য)।
বিকেল ৫.১৭ মিনিটে বিশেষ পরিচিতি পর্বে মিরপুর আস্তানা শরীফের তত্ত্বাবধায়ক আবির্ভাব আবহের আনন্দঘন ‘ভক্ত সমাবেশ’ এ সকলের উদ্দেশ্যে বলেন -“মানবজাতিকে শান্তি ও সত্য পথের সন্ধান দিতে মহান সূফী সাধক আনোয়ারুল হক বাংলার বুকে প্রতিষ্ঠিত করেন মিরপুর আস্তানা শরীফ। তিনি বলেন, যিনি ভক্ত তিনি তাঁর জীবনের সর্বস্তরে অনুভূতি, অনুভব, উপলব্ধিতে মুর্শিদের স্বভাবের সঙ্গে যোগ রেখে যখন নিজ স্বভাব তৈরি করেন তখন আসে বিশ্বাস। সেখানে দিবা-রাত্রি, পরিবেশ, চাওয়া-পাওয়া নেই। নিজ মাঝে সত্যের আলো দেখতে হয়। শান্তিতো মানবজাতির জন্য। সত্যকে নিয়ে সত্যের সঙ্গে যে একাত্মতা এবং একের সঙ্গে একাত্মতায় যে পথ সেটি যার যার নিজের। বিষয়টি হচ্ছে, সমাজে প্রতিনিয়ত নিজকে একজন সত্য পথের যাত্রী হিসেবে সত্য প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত রাখতে চাই কিনা। হাক্কানীর পথ শান্তির পথ। হাক্কানী দর্শন, প্রচার, প্রসার, বিস্তার ও বিকাশ করার জন্য হাক্কানীর চলার পথে সত্যের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার জন্য এবছর আরও ৮ জনকে শাহ্ খেতাবে সম্মানিত করা হয়।
সূফী সাধক আনোয়ারুল হক -এঁর কৃপায় এবার যে ৮ জন শাহ্ খেতাব পেলেন তাঁরা হচ্ছেন ১। শাহ্ ফারুক হাসান মল্লিক – প্রধান উপদেষ্টা, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ, ২। শাহ্ সাদিয়া আফরিন মল্লিক – সদস্য, উপদেষ্টা মণ্ডলী, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ, ৩। শাহ্ মোঃ আকমল ইমাম, সরারচর দরবার শরীফ, কিশোরগঞ্জ। ৪। শাহ্ জাহাঙ্গীর আলম – যুগ্ম মহাসচিব, মিরপুর আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদ, ৫। শাহ্ আশরাফুল আলম, আনারপুর, নরসিংদী। ৬। শাহ্ ফখরুদ্দীন আলী আহমদ – বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ কালিকাপুর, ৭। শাহ্ আশরিফা সুলতানা – সদস্য, সংলাপ পরিচালনা পর্ষদ এবং ৮। শাহ্ মনোয়ারা সুলতানা, সদস্য, হাক্কানী মহিলা উন্নয়ন বিভাগ”। এরপর তাঁরা নিজস্ব অভিব্যক্তি তুলে ধরেন এবং ‘হক আনার প্রশংসা তোমার কৃপা করে ক্ষমো আমায়’ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
অনুষ্ঠানে আগত সকলের জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন পর্ব উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সকল ভক্ত-আশেকান ও অনুসারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। শুরু হয় ভাবসঙ্গীত পর্ব। হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমীর শিল্পীবৃন্দ, বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ কুষ্টিয়া, গাজীপুর এবং অনুষ্ঠানে আগত অতিথি শিল্পীবৃন্দের পরিবেশনায় ভাবসঙ্গীত ভক্ত – আশেকানবৃন্দকে সারা রাত আনন্দ অবগাহনে রাখে। পরে সকলকে শোধনসেবায় আপ্যায়িত করা হয়।
২৩ অগ্রহায়ণ সূফী সাধক হযরত আবু আলী আক্তার উদ্দিন এঁর শুভ আবির্ভাব উদ্যাপনে মিরপুর আস্তানা শরীফ ‘শান্তি সমাবেশে’-এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল ৪.০১ মিনিটে। অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সান্ধ্যকালীন মঙ্গল প্রার্থনা, বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ এবং মহান সাধক এঁর জীবনী ও কর্মসাধনা নিয়ে বিশেষ আলোচনা ও শোধনসেবা।
২১ অগ্রহায়ণ শনিবার মিরপুর আস্তানা শরীফের ভক্ত-ও অনুসারীর একটি দল কিশোরগঞ্জস্থ সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দিন এঁর মাজার ফরিদপুর শরীফ পৌঁছান দুপুরে এবং যথাযথ কৃতজ্ঞতা ও ভক্তির সাথে মহান সাধক এঁর পবিত্র রওজায় গিলাফ ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ ও মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
মাসব্যাপী অনুষ্ঠানে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল- প্রতি বৃহস্পতি ও রবিবার হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, ভাবসঙ্গীত, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সান্ধ্যকালীন মঙ্গল প্রার্থনা, বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ ও শোধনসেবা।
মাসব্যাপী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন – মিরপুর আস্তানা শরীফ মহিলা ব্যবস্থাপনা সংসদের সদস্য শাহ্ আবেদা বানু তরু, মিরপুর আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা সংসদের মহাসচিব আব্দুল কাদের টিটু ও কোষাধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ ইমরান এবং সংলাপ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শেখ সাদি ও মমতাজ বেগম। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আবির্ভাব উদ্যাপন পর্ষদ।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, জয়নগর ভোলা
১ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ১৫ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ জয়নগর ভোলায় হাক্কানী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয়। বাদ মাগরিব হাক্কানী প্রার্থনা ও হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ এর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। ‘দিক্ হতে দিগন্তে’ স্মরণিকা হতে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক – সূফী সাধক আবু আলী আক্তার উদ্দিন এঁর জীবনী পাঠ করা হয়। মিলাদ, মুনাজাত, ভাবসঙ্গীত ও শোধনসেবার পর অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
৯ অগ্রহায়ণ, ২৩ নভেম্বর সোমবার বাদ মাগরিব অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল হাক্কানী প্রার্থনা, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, ‘দরবার ও আদব’ পুস্তিকা হতে পাঠ, এশার সালাত, দিক্ হতে দিগন্তে প্রকাশিত সাধকদ্বয় এঁর অমৃত কথা (বাণী) পাঠ, মুক্ত আলোচনা, মিলাদ, ভাবসঙ্গীত, মুনাজাত ও শোধনসেবা।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ ভোলা সদর, ভোলা
১ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ১৫ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, ভোলা সদরে হাক্কানী বর্ষ বরণ অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল হাক্কানী প্রার্থনা, হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, মুক্ত আলোচনা, বর্তমান সংলাপ হতে মহান সাধকদ্বয় এঁর জীবনী পাঠ, মিলাদ ও মুনাজাত। শোধন সেবা বিতরণের পর অনুষ্ঠান মূলতবি ঘোষণা করেন দরবার কার্যকরী পর্ষদের মহাসচিব মোর্শেদা খানম চৌধুরী।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ হোতখালি, বরগুনা
২১ অগ্রহায়ণ ১৪২২ , ৫ ডিসেম্বর ২০১৫ শনিবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ হোতখালি, বরগুনায় শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সকাল ৯.৩১ মিনিটে হাক্কানী প্রার্থনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন হয়। অতঃপর ভক্ত-আশেকান ও অনুসারীগণ শান্তি-পদযাত্রা করেন। স্থানীয় এলাকায় প্রায় ৭ কিঃ মিঃ পথ অতিক্রম করে পদযাত্রা পুনরায় খানকা শরীফে এসে মিলিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় গরীব ও দুস্থদের মধ্যে শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়। এছাড়াও গত ১ অগ্রহায়ণ রবিবার স্থানীয় গরীব ও দুস্থদের মধ্যে দুই শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছিল। পদযাত্রা ও প্রাতঃসেবার পর অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব মূলতবী করা হয়।
সন্ধ্যায় মাগরিবের সালাতের পর হাক্কানী প্রার্থনা ও হাক্কানী ওজায়িফ পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব শুরু হয়। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অংশগ্রহণ করেন দরবারের সভাপতি ফরিদ জমাদ্দার এবং ভক্ত আলতাফ হোসেন ও মামুন। আবির্ভাব আবহ স্মরণে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন শাহ্ হিমাদ্রি শেখর দেবনাথ কেশব ও বরগুনা হতে আগত সমাজ সেবক মনোয়ার হোসেন। দরবারে আগত সকলে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন পর্বে অংশগ্রহণ করেন।
সূফী সাধক আনোয়ারুল হক এঁর জীবনী এবং ‘দরবার ও আদব’ পুস্তিকা পাঠ করেন শাহ্ হিমাদ্রি শেখর দেবনাথ কেশব। আলোচনা করেন দরবারের তত্ত্বাবধায়ক শাহ্ মাহবুব আলম নান্টু। ভাবসঙ্গীত পরিবেশন করেন বরগুনা ও পাথরঘাটা থেকে আগত বাংলাদেশ বেতারের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী মোশতাক আহমেদ ও শাহীন আজাদ এবং স্থানীয় অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ। মুনাজাত ও শোধনসেবার পর অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, কুষ্টিয়া
১৯ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ কুষ্টিয়ায় শান্তি সমাবেশ উদযাপিত হয়। অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল বিকেল ৪.০১ মিনিটে মহান সাধক এঁর বাণী ‘বই-কেতাব হতে মানুষ-কেতাব উত্তম’ এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ, সন্ধ্যা ৫.৩১ মিনিটে মাগরিবের সালাত ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ৫.৪১ মিনিটে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও বরণ মাল্যে সবাইকে বরণ এবং ‘ঘুরে এলাম মিরপুর আস্তানা শরীফ’ বিষয়ের উপর অভিব্যক্তি প্রকাশ পর্ব। ভাবসঙ্গীত, হাক্কানী প্রার্থনা ও শোধনসেবার পর অনুষ্ঠান মূলতবী করা হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, খুলনা
২২ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রবিবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ খুলনায় শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিকেল ৪.০১ মিনিটে হাক্কানী বন্দনা ও ওজায়িফ পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মহান সাধকদ্বয় এঁর বাণী পাঠ করেন শামিমা আক্তার ও রাবেয়া শারমিন। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন শাহ্ সূফী শেখ হায়দার আলী, সিরাজুল ইসলাম, সালেহা বেগম, নিশাত আহমেদ, রাবেয়া শারমিন, শামিমা আক্তার ও মাইমুনা আক্তার। মাগরিবের সালাতের পর শুরু হয় বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ। সূফী সাধক আনোয়ারুল হক এঁর বাণী ‘যে ব্যক্তি মনে ও মুখে এক নয় তার ইবাদত শুদ্ধ নয়’ এর উপর তাৎপর্য অন্বেষণ করেন- সিরাজুল ইসলাম, শেখ জামাল হোসেন, নিশাত আহমেদ, শামিমা আক্তার, রাবেয়া শারমিন, এ.এম.জি মহিউদ্দিন, ওয়াহিদুজ্জামান, আবু মূসা এবং আবুল কালাম আজাদ। রাত ৯.১৫ মিনিটে শাহ্ সূফী শেখ হায়দার আলী এবং সালেহা বেগম কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আগত সকলে শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্বে অংশগ্রহণ করেন। শোধনসেবার পর অনুষ্ঠান মূলতবী করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শাহরিয়াজ।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, গাজীপুর
২৭ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ শুক্রবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ গাজীপুর এর আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ গাজীপুর ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি এডঃ মোঃ হাদিউল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশের আলোচ্য বিষয় ছিল “সত্যের সাথে একাত্মতা”। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ঢাকা হতে আগত বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি শাহ্ মোঃ লিয়াকত আলী, মহাসচিব শাহ্ শাহনাজ সুলতানা, নির্বাহী সদস্য শাহ্ ফাতেমা আফরোজ নাসরিন ও সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপের নির্বাহী সম্পাদক শাহ্ সারফুল ইসলাম মাহমুদ।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ গাজীপুর ব্যবস্থাপনা সংসদের যুগ্মসচিব ডা. মো. নজরুল ইসলাম ফকিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাসচিব ইঞ্জি. মো. আবদুল হামিদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বক্তা আল্লামা মুফতি মো. রজব আলী আল কাদরী ও স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন খান আল আমিন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রাতব্যাপী ভাবসঙ্গীত পরিবেশন করেন হাক্কানী ভক্ত মোঃ খুরশেদ আলম, সাদিয়া আফরিন ও মমতাজ উদ্দিন খলিফা। অনুষ্ঠানে আগত সকলকে শোধনসেবায় আপ্যায়িত করা হয়।
বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ, কালিকাপুর
২ অগ্রহায়ণ ১৪২২ , ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ বুধবার বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ কালিকাপুরে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩.১১ মিনিটে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের অন্যন্য সূচীতে ছিল হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, জিকির, মিলাদ ও মুক্ত আলোচনা। সন্ধ্যা ৮.১৩ মিনিটে ‘হক আনার প্রশংসা তোমার কৃপা করে ক্ষমো আমায়’ প্রার্থনায় কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব শুরু হয়।
উপস্থিত ভক্ত-আশেকানবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। রাতের শোধনসেবা গ্রহণের পর সারা রাতব্যাপী ভাবসঙ্গীত পরিবেশিত হয়। ভাবসঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
সরারচর আস্তানা শরীফ, কিশোরগঞ্জ
২৭ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫, শুক্রবার সরারচর আস্তানা শরীফে আশেকান সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮.০১ মিনিটে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে আগত সকল আশেকান এই দুই মহান সাধক স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন সকাল ৮.৩১ মিনিটে। সকাল ১১টায় ছিল বিশেষ মিলাদ মাহফিল। দরবারে আগত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ১২.০১ মিনিটে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এরপর ছিল মধ্যাহ্ন শোধনসেবার বিরতি।
বাদ আসর বিকেল ৫.৩১ মিনিটে শুরু হয় জিকির ও মিলাদ মাহফিল। সূফী সাধক আবু আলী আক্তারউদ্দিন এঁর মূল্যবান বাণী ‘সত্য দেখার আগে সত্য নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠা করা শ্রেয়’ এর উপর বাণী তাৎপর্য অন্বেষণ শুরু হয় সন্ধ্যা ৬.৩১ মিনিটে। বাণী তাৎপর্য অন্বেষণে অংশগ্রহণ করেন সরারচর আস্তানা শরীফের ভক্ত মোঃ শরফুল ইসলাম, আহাদ আলী মাস্টার, সিরাজুল ইসলাম, আবেদ আলী, সোহরাব হোসেন, মোঃ হুমায়ুন কবির ভূইয়া, মোঃ শহিদুল ইসলাম, নিউটন সাহা। রাত ৯.০০ মি. হতে ভোর পর্যন্ত ভাবসঙ্গীত ও ভোর ৪.০০ মিনিটে মুনাজাত ও শোধনসেবা বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান মূলতবী হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আস্তানা শরীফ ব্যবস্থাপনা পরিষদ।
বিবি ফাউন্ডেশনে শ্রদ্ধা নিবেদন
২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে আবির্ভাব আবহে বিবি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত হল শান্তি সমাবেশ। এ আয়োজন ছিল ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন আমেজে সত্যানুসন্ধানীদের জন্য বিশেষ আয়োজন। শতাধিক তরুণ রাজনৈতিক কর্মীর সাথে সত্যব্রতী – সত্যানুসন্ধানী মানুষের এ এক মনোমুগ্ধকর মতবিনিময়। গানে আলাপচারিতায় বক্তব্যে ছিল দেশপ্রেমের নতুন উন্মাদনা, সহজ সত্যের সহজ উপস্থাপন। সভ্যতায় সত্য মানুষের পদচারণা বিশেষত বাংলায় তাদের রেখে যাওয়া দৃষ্টান্ত কিভাবে জাগ্রতচিত্তে জীবনের জয়গান শোনাচ্ছে পথপ্রদর্শন করছে তা উঠে আসে আলোচনায়। মুক্তিযুদ্ধ বাংলার ইতিহাস দেশের অভ্যন্তরে অন্ধকারের রাজনীতির খোলামেলা বিশ্লেষণ আলোচনাকে সমৃদ্ধ করেছে। আগ্রহীরা জানতে পেরেছে খুব কাছে থাকা এমন সব সত্য যা তাদের কাছে এতদিন এক প্রকার অজানা ছিল কিংবা সংশায়বৃত্তে আবদ্ধ ছিল।
সত্য সুন্দর যে সর্বত্র নানা রূপে, স্থান কাল পাত্র ভেদে রং বদলায় আপনায় মহীমায় প্রকাশ করে ঐশ্বর্যের দিপ্তী তাই তো দেখা গেল ধানমন্ডির ব্যস্ত আঙিনায়। অগ্রহায়ন শান্তি সমাবেশের শিরোনাম ছিল ‘সুপ্রভাত জানাতে চাই সত্য সমাগত’।
ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে উপস্থিত নব প্রাণে, যা এইসব অজানা প্রাণে নতুন সুর তুলবেই। আমরা পৌঁছাতে চাই বহুদূর। বলতে চাই বলার পরিবেশ সুযোগ সৃষ্টি করে উচ্চে তুলে ধরতে চাই সত্যের ঝান্ডা। শান্তি, সাম্যের উদার অসাম্প্রদায়িক বাংলায় সত্যের জয় হবে মিথ্যা পরাভূত হবে এটাই বিবি ফাউন্ডেশনের পথ যাত্রার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য। আত্মজাগরিত প্রকাশে অসংকোচে দৃঢ় প্রত্যয় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
মাগরিবের নামাজের পর কেক কেটে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ছাত্রনেতৃত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে উঠা রাজনীতিক বিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাহাদুর বেপারী, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ্ সূফী শেখ আমজাদ হোসেন, সহ-সভাপতি ও হাক্কানী যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ টিটু।
বাহাদুর বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শাহ্ সূফী শেখ আমজাদ হোসেন, ইমতিয়াজ আহমেদ টিটু, তারিক মাহমুদ টিপু, সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ পরিচালনা পর্যদের সদস্য ড. আলাউদ্দীন আলন প্রমুখ।
সূফী সাধকগণ এঁর জীবন কর্ম অন্বেষণের গুরুত্ব জানানোর পাশাপাশি, মিথ্যাচারের কাল্পনিকতার আবর্তে কিভাবে অপব্যবহারের শিকার হচ্ছে শান্তি (ইসলাম) ধর্মের সৌন্দর্য আবেদন, কিভাবে আবারো সত্য আমাদের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের করণীয় কি হতে পারে সেসব নিয়ে দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ, কেন্দ্রীয় উপকমিটি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া আরো ছিলেন অগ্রণী ব্যংকের উপমহাব্যবস্থাপক ড. এমদাদুল হক, বর্তমান সংলাপ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য শাহ্ শেখ মজলিস ফুয়াদ, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সচিব মাহবুব আহমেদ প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক ড. সাইম রানা, ওস্তাদ হানিফ রতন, তারিক মাহমুদ টিপু ও সুরভী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নজরুল ইশতিয়াক।
চান্দপুরশরীফ, কিশোরগঞ্জ
সূফী সাধক আনোয়ারুল হক আবির্ভাব আবহে অগ্রহায়ণ মাসব্যাপী কিশোরগঞ্জস্থ চান্দপুর শরীফে শান্তি সমাবেশ উদ্যাপিত হয়। সারা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল হতে আগত ভক্ত-আশেকানবৃন্দ মহান সাধক-এঁর রওজায় গিলাপ ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, হাক্কানী প্রার্থনা, ও মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। একইসাথে মা ভক্ত এই সাধক-এঁর রওজার পাশে অবস্থিত মা’এর রওজায়ও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
১৭ই অগ্রহায়ণ বিশেষ অনুষ্ঠান সারাদিনই উন্মুক্ত ছিল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন জন্য। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত হাক্কানী দরবার/আস্তানা/ খানকা শরীফ থেকে আগত ভক্তগণ গিলাপ ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
মাসব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্য সূচীর মধ্যে ছিল হাক্কানী ওজায়িফ পাঠ, মুক্ত আলোচনা, ভাবসঙ্গীত, হাক্কানী প্রার্থনা, মুনাজাত ও শোধনসেবা।
ছোটাবন্দ হাক্কানী দরবার শরীফ শিবপুর, নরসিংদী
সূফী সাধক আনোয়ারুল হক স্মরণে ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫ শুক্রবার ছোটাবন্দ হাক্কানী দরবার শরীফ, শিবপুর নরসিংদীতে শান্তি সমাবেশ উদ্যাপিত হয়। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য ছিল আলোচনা সভা, প্রার্থনা, শোধনসেবা। আলোচনার বিষয় ছিল -‘হাক্কানী শিক্ষায় দরবার শরীফ’। দরবারের ভক্ত-আশেকানগণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বার্মিংহামে শান্তি সমাবেশ
২২ অগ্রহায়ণ’ ১৪২২, ৬ ডিসেম্বর’১৫ রবিবার বার্মিংহামস্থ নিজস্ব বাসভবনে আবির্ভাব আবহ অনুষ্ঠান উদযাপন করেন হাক্কানী ভক্ত দিলশাদ অন্তরা, রুপক আমিনুজ্জামান, রিমেন রুদ্র এবং সালেহ আল দীন। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে, কেক কেটে তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। হাক্কানী প্রার্থনা ও শোধনসেবা গ্রহণের পর অনুষ্ঠান মূলতবী হয়।
সত্যাশ্রম, বিশাউতি, কলমাকান্দা
১০ অগ্রহায়ণ ১৪২২, ২৪ নভেম্বর ২০১৫ মঙ্গলবার সত্যাশ্রম বিশাউতি’র ভক্ত-আশেকানগণ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেন। কেক কেটে শ্রদ্ধা নিবেদনের সাথে অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল মঙ্গল প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোধনসেবা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভাবসঙ্গীত পরিবেশন করেন স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
অগ্রহায়ণ সমাপনী অনুষ্ঠান, হাক্কানী আস্তানা শরীফ
অগ্রহায়ণ সমাপনী অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয় ঢাকার আহম্মদনগরস্থ হাক্কানী আস্তানা শরীফে ৩০ অগ্রহায়ণ’২২, ১৪ ডিসেম্বর’১৫ সোমবার। বিকেল ৪.৩১ মিনিটে হাক্কানী মিশন বিদ্যাপীঠ ও মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণের শ্রদ্ধা নিবেদনে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে পতাকা উত্তোলন করেন হাক্কানী মিশন বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ সূফী শেখ আমজাদ হোসেন, সভাপতি শাহ্ সূফী ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম এবং বাহাখাশ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি শাহ মোঃ লিয়াকত আলী। সন্ধ্যা ৫.১০ মিনিটে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সান্ধ্যকালীন মঙ্গল প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন হাক্কানী পরিবারের মোট ২৭ জন সদস্য। সন্ধ্যা ৫.২১ মিনিটে ‘আবির্ভাব’ বিষয়ের উপর মুক্ত আলোচনা করেন – বাহাখাশ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি শাহ মোঃ লিয়াকত আলী, মহাসচিব শাহ শাহনাজ সুলতানা, সদস্য শাহ্ ফাতেমা আফরোজ নাসরিন, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা সংসদের সভাপতি শাহ্ সূফী ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম, মহসচিব শাহ্ এন.সি.রুদ্র, সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ টিটু, হাক্কানী পরিবারের সদস্য ও উদীয়মান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাহাদুর ব্যাপারী, হাক্কানী নিবেদিত প্রাণ তারেক মাহমুদ টিপু, সংলাপ পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী সম্পাদক শাহ্ সারফুল ইসলাম মাহমুদ, সদস্য নজরুল ইশতিয়াক ও ড. আলাউদ্দিন আলন।
০৮.০১ মিনিটে কেক কেটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন – শাহ্ শওকত আলী খান, শাহ্ সাহানাজ বেগম পিনু, হায়দার আলী খান বহুলুল, রাজলক্ষ্মী, লাজিন, সূর্য, তানজিম, নিশি ও আবদুল কাদের টিটু। রাত – ৮.১১ মিনিটে ‘জ্যোতির্ময়’ প্রদর্শন এর পর শুরু হয় ভাবসঙ্গীত পর্ব। ভাবসঙ্গীত পরিবেশন করেন অতিথি শিল্পী মোঃ রেজাউল করিম, লিমা ইসলাম, বর্তমান সংলাপের নির্বাহী সম্পাদক শাহ্ সারফুল ইসলাম মাহমুদ, হাক্কানী নিবেদিত প্রাণ তারেক মাহমদু টিপু ও দীপ। বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ গাজীপুর হতে আগত শিল্পী খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ কুষ্টিয়া হতে আগত শিল্পী রাজীব, জহির, মামুন, পথিক, মানিক সফিক, খাইরুল, ঈমন, শামীম, জাহাঙ্গির, হামিবা সাংস্কৃতিক একাডেমীর শিক্ষার্থী ডাঃ সোহানা, সাজনা, নিটোল, শাহনূর এবং একাডেমীর সভাপতি শাহ্ শওকত আলী খান, সদস্য আবদুল কাদের টিটু, ডাঃ সুমাইয়া সুলতানা সুমি, এবং একাডেমীর ওস্তাদ আকরাম হোসেন বাবলা ও ওস্তাদ হানিফ রতন। বাঁশিতে ছিলেন মোঃ ফায়জুল রহমান, তবলায় রাজিব ও কি-বোর্ডে দ্বীপ। সারা রাতব্যাপী পরিবেশিত ভাবসঙ্গীত উপস্থিত ভক্ত-আশেকানদেরকে ভাবের জগতে নিমগ্ন রাখে। ভোর ৫.১৫ মিনিটে মুনাজাত ও শোধনসেবা গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান পরবর্তী অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত মূলতবী রাখা হয়।