শেষ পাতা

সুপ্রভাত বাংলাদেশ – বিদায়ী বছরে ২ হাজার কোটি ডলার রেমিট্যান্স

সংলাপ ॥ দেশকে এগিয়ে নেবার অন্যতম শক্তি প্রবাসী আয়। বাংলাদেশের বিশাল কর্মীবাহিনী বিশ্বের নানা প্রান্তে কাজ করছে আর পাঠাচ্ছে রেমিট্যান্স। বিদায়ী বছরে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৮৩২  কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রবাসী আয় বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর  থেকে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া শুরু করে সরকার। এরপর থেকেই প্রবাসী আয়ে গতি আসে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর তাতে নতুন মাত্রা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে বাংলাদেশের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে বড় ধাক্কা লাগে।       মার্চ ও এপ্রিলে আয় কমে যায়। তবে এরপরই বড় উল্লম্ফন শুরু হয়। এখনও সেই প্রবণতা অব্যাহত আছে।

যদিও এই সময়েই কাজ হারিয়ে দেশে ফিরেছেন প্রায় আড়াই লাখ প্রবাসী শ্রমিক। অনেকের বেতনও কমে গেছে। এরপরও রেমিট্যান্স বেড়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রমিকেরা ফিরে এলেও আয় বাড়ছে। কারণ, বিদেশে চলাচল সীমিত হয়ে পড়ায় অবৈধভাবে টাকা পাঠানো কমে গেছে। এ জন্য বৈধ পথে রেমিট্যান্স বেশি আসছে।

করোনাভাইরাস প্রকল্পে দুর্নীতি; ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রী গ্রেফতার

সংলাপ ॥ ইন্দোনেশিয়ায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারীতে দুর্গত লোকজনের খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দেশটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মন্ত্রী জুলিয়ারি বাতুবারা ওই কর্মসূচি থেকে  ১২ লাখ ডলার ঘুষ খেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এরইমধ্যে বাতুবারার কয়েকটি সুটকেস, ব্যাকপ্যাক এবং কয়েকটি খাম আটক করেছে যার মধ্যে ১২ লাখ ডলার সমমূল্যের অর্থ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিরিজ অভিযান চালানো হয়। তাকে সন্দেহের তালিকায় রাখার কারণে নিজেই আজ দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সদর দপ্তরে হাজির হন। সামপ্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই নিয়ে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো সরকারের দ্বিতীয় কোন মন্ত্রী দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার হলেন। জলিয়ারি বাতুবারাকে গ্রেপ্তারের পর প্রেসিডেন্ট উইদোদো বলেছেন, ‘এই অর্থ জনগণের, করোনাভাইরাসের মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর জাতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার অর্থ এটি।’ তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, কোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে তিনি সুরক্ষা দেবেন না।করোনাভাইরাসের মহামারীতে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটির সরকার অভাবগ্রস্তদের জন্য খাদ্য সহায়তা মতো নানা রকমের সহযোগিতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ ধরনের একটি সহযোগিতা কর্মসূচির ঠিকাদারদের কাছ থেকে বাতুবারা ঘুষ খেয়েছেন।

‘জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিথ্যাকে ধ্বংস ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্রতী হওয়ার জেহাদে রত থাকলে আত্মিক উন্নতি হবেই হবে।’

সংলাপ ॥ গত ১৭ অগ্রহায়ন, ২ ডিসেম্বর ছিল সূফী সাধক আনোয়ারুল হক’এঁর আবির্ভাব দিবস। এই অমর বাণীর ওপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন, হাক্কানী মিশন বাংলাদেশ (হামিবা) সভাপতি শাহ্ সুফী ড. মুহাম্মদ মেজবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফ (বাহাখাশ) এর প্রধান উপদেষ্টা শাহ্ মো. লিয়াকত আলী, সাপ্তাহিক বর্তমান সংলাপ পর্ষদের নির্বাহী সদস্য নজরুল ইশতিয়াক, মিরপুর আস্তানা শরীফের ভক্ত মাহবুবুল হক এবং হামিবার সহ-সভাপতি শাহ ইমিতয়াজ আহমদ।

শাহ্ ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, ১৭ অগ্রহায়ণ, সূফী সাধক সাধক আনোয়ারুল হক’এঁর শুভ আবির্ভাব উপলক্ষে আজকের এই অনুষ্ঠানটি মিরপুর আস্তানা শরীফ এবং আমরা যারা এর ভক্ত-আশেকান হিসেবে তাদের জন্য বিশেষ, বিশেষ এবং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সূফী সাধক শেখ আবদুল হানিফ কেন এই দিনটিকে টপ প্রায়োরিটি (সর্বোচ্চ গুরুত্ব) গুরুত্ব দিয়ে এই দিনটি উদযাপন করতেন তা অনুধাবন ও উপলব্ধি করতে না পারলে কিছুই হবে না। ১৭ অগ্রহায়ণ উদযাপনের জন্য কেবলমাত্র মিরপুর আস্তানা শরীফকেই দেয়া হয়েছে। সকল ভক্ত-আশেকানগণের মূল এই মিরপুর আস্তানা শরীফ। এই মূলের সাথে সংযুক্ত না থেকে বাইরে থেকে যত অহংবোধই প্রকাশ করা হোক না কেন কিছু হবে না। আদবের যে-কোনো ধরনের বরখেলাপ সূক্ষ্ম বিচারে ধরা পড়বেই। মানুষের নিজের ভেতরে থাকা এই ধরনের সংকীর্ণতা ও হীনমন্যতাকে সূফী সাধক শেখ আবদুল হানিফ অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখতেন। আত্মিক উন্নতির জন্য নিজেকে তৈরি হতে হয়। জীবনে সত্য-মিথ্যা এক এক জনের কাছে এক এক রকম। মূল বা কেন্দ্রের সাথে সংযোগ রেখে এই পার্থক্য নিজের মধ্যে উপলব্ধি করতে হয়।

মাহবুবুল হক বলেন, নিজ নিজ মুর্শিদকে স্মরণে রেখে চলতে পারলে, কোনো কাজে একনিষ্ঠভাবে লেগে থাকলে আত্মিক উন্নতি হবেই হবে। আমাদের মনের মধ্যে যে অসংখ্য মূতি সেটা ভাঙ্গতে হবে। হাক্কানী স্কুল থট-এর দায়িত্বই হচ্ছে মানুষের মধ্যে সত্যের আলো ছড়িয়ে দেয়া। ধর্মীয় অন্ধত্ব থেকে বের হয়ে এসে পথ চলতে হবে। মুর্শিদ সব সময়ই আছেন, মুর্শিদই হচ্ছেন ভক্তের সবচেয়ে উত্তম গাইড।

নজরুল ইশতিয়াক বলেন, জীবনকে কর্মের মধ্যে যুক্ত রাখার মধ্য দিয়ে গতিশীল জীবনে যে বোধের জন্ম সেখানে একনিষ্ঠভাবে ধরে রাখতে পারলে সত্য দেখা যায়। জীবনের উপলব্ধি ও প্রাপ্তির মধ্যেই জীবনের মাহাত্ম্য, এই এক জীবনের মধ্যেই মহাজীবনকে উপলব্ধি করতে হবে। দরবারের বাইরের যে-জীবন সেটি মোহ-কামনায়, ক্ষুদ্র-খিত চিন্তা-সমাজ-সংসারের মোহাচ্ছন্নঘেরা। জীবনের বন্ধন, কেবলমাত্র সংসার জীবন পচা-পানির মতো। দরবারে-সুফী সাধকের সংস্পর্শে আসলে সমৃদ্ধ জীবনের সন্ধান মেলে। সাধক মানেই অনুশীলনকারী। সাধকের সান্নিধ্য পাওয়ার পর যে জীবন  সেটিই সত্যজীবন, সত্যমানুষের জীবন। দরবারী জীবন উদ্ভাসিত জীবনের সন্ধান দিয়ে যান সাধক। সেখানে শুধুই আত্মসমর্পণ-নারী-পুরুষ, হিন্দু-মুসলমান বলতে কিছু নেই। আরোপিত জীবন-আবরণের মধ্যে থাকা, দেহ-চিন্তার মধ্যে যা যুক্ত হয়ে আছে, প্রেমের অনুরাগে সব আবরণ খুলে ফেলে দিতে না পারলে নতুন উপলব্ধি, নতুন সৃষ্টিতে যাওয়া যায় না, পাওয়া যায় না মহাজীবনের সন্ধান। মহাজীবনের পথে চলার মধ্যেই থাকে আত্মিক উন্নতি।

শাহ মো. লিয়াকত আলী বলেন, যিনি জন্মের আগে অবস্থান করেন তাঁরই আবির্ভাব আবহ হয়। তিনি অবস্থান করেন জন্মও মৃত্যুর মাঝখানে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে দেহজগত ও আত্মজগত। আত্মজগতের শুরুও নেই, শেষও নেই। আত্মাকে শক্তিশালী করতে হলে দেহকে কাজে লাগাতে হয়। আত্মার জগত তিন ধরনের-মুনাফেক, মুশরিক ও মোমিন। মোমিনদের আত্মাজগত নিয়ন্ত্রণে থাকে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে -দুনিয়াদারি ও আত্মিক জগতে সত্যকে ধারণ করি কি না সেটিই মূল কথা। দেহজগতে নারী-পুরুষ চিন্তা থাকে বলে এখানে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা থাকে না। ফলে শান্তিও থাকে না। আত্মিক উন্নতির জন্য সত্যপথে চলা শুরু করলেই নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা লাভ করা যায়, তখনই শান্তির পথ পাওয়া যায়। শান্তিতে থাকতে হলে সাধকদের পথে চলতে হবে-সংযোগে থাকলে অবশ্যই হবে। শাহ্ সুফী ড. মেজবাহুল ইসলাম বলেন, আমার উন্নতিই আত্মিক উন্নতি। মহান সাধকদের নির্দেশিত পথ এবং আমাদের যার যার ওপর নির্ধারিত দায়িত্ব-কর্তব্য সম্যকভাবে পালনের মধ্য দিয়েই আমরা সেই উন্নতি সাধন করতে পারি।

ভেনিজুয়েলায় জাতীয় নির্বাচনে মাদুরোর সমাজতন্ত্রী পার্টির বিজয়

সংলাপ ॥ ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন সমাজতন্ত্রী পার্টি দেশটির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ধরনের বিজয় লাভ করেছে। যখন আমেরিকাসহ পাশ্চাত্যের বহু সংখ্যক দেশ মাদুরো সরকারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ নানামুখী চাপ সৃষ্টি করেছে তখন তার দল এই বিজয় পেল।

এ বিজয়ের মধ্যদিয়ে মাদুরো দেশটিতে তার ক্ষমতা আরো সুসংহত করতে সক্ষম হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সমর্থিত বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়াইদো তার জোটকে নির্বাচন বয়কট করার আহবান জানিয়েছিলেন। এ সত্ত্বেও ভেনিজুয়েলার সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।

ভেনিজুয়েলার জাতীয় নির্বাচন পরিষদের সভাপতি ইন্দিরা আলফোনজো জানিয়েছেন, মাদুরো ও তার ক্ষমতাসীন সমাজতন্ত্রী দল এ পর্যন্ত গণনা করা শতকরা ৮০ ভাগ ভোটের মধ্যে ৬৭.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বয়কট ভেঙে মাদুরো-বিরোধী যে জোট নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তারা পেয়েছে শতকরা ১৮ ভাগ ভোট। বিপুল বিজয়ের মাদুরো সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় সংসদের বিরোধীদের চরম আধিপত্যের দিন শেষ হয়েছে।

‘বর্তমান সংলাপ’ পালন করছে সাধক কাজী নজরুলের ‘ধূমকেতু’র ভূমিকা

শেখ উল্লাস ॥ বাংলাদেশের মিডিয়া জগতে বর্তমানে সাংবাদিকতার নামে বাণিজ্যিক স্বার্থোদ্ধারের তৎপরতা যখন স্পষ্টভাবে প্রতিভাত, সেই প্রেক্ষাপটে ধূমকেতুর মতো পত্রিকা এবং সাধক কাজী নজরুলের মতো সাংবাদিক-সম্পাদকের বড় প্রয়োজন।  মানুষ সাংবাদিকদেরকে দেখতে চায় এমন কবি হিসেবে, সাধক হিসেবে যাদের কাছে দেশ, জাতি আর দেশের মানুষের স্বার্থটাই হবে বড়, সাংবাদিকতা রুটি-রুজি উপার্জনের উপায় হিসেবেই শুধু নয়, সামাজিক অঙ্গীকারের দিকটাই এতে প্রাধান্য পাবে। যে সাংবাদিকতা মিশন নয় সেটাকে সাংবাদিকতা না বলে অন্য কিছুই বলাই শ্রেয়। কেন না, এতে কাজী নজরুল, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াদের মতো সাংবাদিকদের আত্মা কষ্ট পায়। সাংবাদিকতার সংজ্ঞা আজ তাই পরিবর্তনের সময় এসেছে। নতুন করে সাংবাদিকতার সংজ্ঞা নির্ধারিত হওয়া উচিত। নজরুল তাঁর ‘ধূমকেতু’তে লিখেছিলেন, ‘পূর্ণ স্বাধীনতা পেতে হলে সকলের আগে আমাদের বিদ্রোহ করতে হবে। …..আর বিদ্রোহ করতে হলে সকলের আগে আপনাকে চিনতে হবে। বুক ফুলিয়ে বলতে হবে, ‘আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ।’

কুরআন বলেছে, ‘আত্মজয়ের চেষ্টাই সর্বশ্রেষ্ঠ জেহাদ।’ যতটুকু জেনেছি বর্তমান সংলাপ নিজকে ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করে না। নিজ দেশ আর দেশের মানুষ, বিশ্ব প্রকৃতি আর সৃষ্টিকর্তার কাছেই এর সকল দায়বদ্ধতা।

সাংবাদিক ওয়াহিদুল হক ‘ভোরের কাগজ’ (৫ জানুয়ারী ২০০৬)-এ তাঁর নিয়মিত কলাম ‘এখনো গেল না আঁধার’-এ ইতিমধ্যে ‘বর্তমান সংলাপ’-কে আশীর্বাদ জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘ বিএনপি-জামাতের এই সময়ে জঙ্গীবাদের দ্বারা এই রাষ্ট্র আক্রান্ত হবার ঘোর নিদানের কালে এই  সাপ্তাহিকটির চাইতে সাহসী, প্রতিবাদী, প্রতিরোধী অবস্থান আর কেউ নেয়নি। ‘বর্তমান সংলাপ’ সত্যসন্ধানী এক ইসলামি দল হাক্কানী মিশন- তাদের মুখপাত্র। ব্যবসায়িক উদ্দেশে পরিচালিত নয় বলে এর   প্রচার সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত। গোলাম আযম, নিজামী যেমন পাঞ্জাবী মওদুদীর জঙ্গি এবং মিথ্যা ইসলামের তথা হিংসাবিদ্বেষ, নরহত্যা, রাষ্ট্রীয়  ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের চিহ্নিত স্বঘোষিত নিশানবরদার, হাক্কানী মিশন তার বিপরীতে বাংলার ঐতিহ্যপূর্ণ শান্তিময় (ইসলামি) সমন্বয় ভিত্তির ভক্তিমূলক সূফী ধারার প্রচারক প্রসারক। ‘বর্তমান সংলাপ’ এর প্রচার বাড়–ক, হাক্কানী মিশনের প্রভাব বাড়–ক, সমাজের শিক্ষিত ভাবুক ধর্মপরায়ণ অংশে’।

তাই  আশা, আজকের সাপ্তাহিক আর আগামী দিনের দৈনিক ‘বর্তমান সংলাপ’ হোক বাংলাদেশের নতুন যুগের ‘ধূমকেতু’ যাতে পরপার থেকে বিশ্বকবি, সাধক রবীন্দ্রনাথ আশীর্বাদ জানিয়ে আবারো  বলবে -‘

আয় চলে আয়রে ধূমকেতু

আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু,

দুর্দিনের এই দুর্গশিরে

উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন!

অলক্ষণের তিলক রেখা

রাতের ভালে হোক না লেখা,

জাগিয়ে দেরে চমক মেরে

আছে যারা অর্দ্ধচেতন।’

ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে সৌদি-আমিরাত বিরোধ তীব্র হচ্ছে

সংলাপ ॥ ইয়েমেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ে মতভেদ দেখা দেয়ার পর এখন তথ্য গত বিষয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে। ৬৯ মাস ধরে চলে আসা যুদ্ধে মূল ভূমিকা রেখেছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু সাম্প্রতিক গত প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন বিষয়ে আবুধাবি ও রিয়াদের মধ্যেকার মতবিরোধ স্পষ্ট হয়ে  উঠেছে। ইয়েমেনের ভেতরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মূলত এই বিরোধ।

ইয়েমেন যুদ্ধের সময় যতই দীর্ঘায়িত হচ্ছে আমিরাত ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিযোগিতা ততোই বাড়ছে। কারণ দুই দেশই ইয়েমেনে তাদের প্রভাব বিস্তার ও কৌশলগত অবস্থান জোরদার করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব যদিও প্রথম থেকেই ইয়েমেনে আমিরাতের প্রভাব বিস্তারের বিরোধিতা করে আসছিল কিন্তু এই যুদ্ধে আমিরাতের সহযোগিতার প্রয়োজন ছিল বলে এতদিন সৌদি আরব এ বিষয়ে চুপচাপ ছিল। ইয়েমেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে রিয়াদ ও আবুধাবির মধ্যে বিরোধ থাকলেও এখন এই দেশটিতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত চায় ইয়েমেনের পলাতক প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদির মন্ত্রিসভায় আমিরাতপন্থী সদস্যদের উপস্থিতি বজায় থাকুক। কিন্তু মানসুর হাদি ও সৌদি আরব আমিরাতের এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। এ অবস্থায় আমিরাত সরকার ইয়েমেনে আমিরাতের সমর্থিত অন্তরবতী পরিষদ গঠন করে এবং ইডেনের ক্ষমতাচ্যুত  গর্ভনরকে এই পরিষদের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে। 

বর্তমানে ইয়েমেনে আমিরাত সমর্থিত অন্তর্র্বতী পরিষদ শুধু যে সৌদি সমর্থিত ও পদত্যাগকারী প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছে তাই নয় একইসঙ্গে এই পরিষদ এমন পরিষদ গঠন করেছে যা রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে সৌদি আরবের প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ ইয়েমেনে সৌদি-আমিরাত পন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে এতে উভয় পক্ষেরই অনেক অনুচর হতাহত হয়েছে।

তথ্যগত ক্ষেত্রেও আমিরাত ও সৌদি আরবের মধ্যে তীব্র মতভেদ দেখা দিয়েছে। খালিজ অনলাইনের এক প্রতিবেদনে আমিরাত ও সৌদি আরবের মধ্যে তথ্যগত গোপন বিরোধ শুরু হওয়ার কথা জানিয়ে লিখেছে, সৌদি সেনা কমান্ডাররা এই সামরিক জোটের সদস্যদের তথ্য বিনিময় বিষয়ক নীতিমালা পুনমূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তথ্য বিষয়ক বৈঠকে আমিরাতের অংশ গ্রহণের বিষয়টি পুনমূল্যায়ন করা উচিত।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি কমান্ডারদের এ বক্তব্য থেকে ইয়েমেন ইস্যুতে আবুধাবি ও রিয়াদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ ও অনাস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই অনাস্থার মাত্রা এতটাই বেশি যে সৌদি গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে আমিরাতের গোয়েন্দা সংস্থা সৌদি সমর্থিত সরকারের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

এদিকে এ বিরোধের ফলে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আমিরাত ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে এবং রিয়াদকে বাদ দিয়ে নিজের মতো করে ইয়েমেনে প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা করছে।

‘ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার আগে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মাইক পম্পের আলোচনা হয়েছিল’

সংলাপ ॥ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শীর্ষপরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেকে হত্যার বিষয়টি ইসরাইলের  প্রধানমন্ত্রী বেনিয়া মিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করে থাকতে পারেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

আমেরিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং পররাষ্ট্রবিষয়ক সংবাদিক প্যাট্রিকলরেন্স ইরানের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রেসটিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে একথা বলেছেন।

সম্প্রতি ইরানের রাজধানীতে হরানের কাছে ফাখরিজাদেকে গুপ্ত ঘাতকেরা বোমা হামলা ও গুলি চালিয়ে শহীদ করে। দুই বছর আগে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে একটি প্রেজেন্টেশন দিতে গিয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বার বার নাম উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘স্মরণ রাখ বেননা মটি হচ্ছে- ফাকরিজাদে।’

ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার পরপরই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদজ ও য়াদজারিফ বলেছেন, এই হত্যাকান্ডের পেছনে ইসরাইলের জড়িত থাকার মারাত্মক ইঙ্গিত রয়েছে।

পাশাপাশি আমেরিকার দুইজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন যে, এই হত্যার পেছনে ইসরাইল জড়িত। আমেরিকার একজন বেসামরিক কর্মকর্তা একই  কথা বলেছেন নিউইয়র্ক টাইমসকেএ হত্যাকান্ড সম্পর্কে আমেরিকার সাংবাদিক লরেন্স বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে আমাদেরকে জিজ্ঞেস করা প্রয়োজন যে, এই ঘটনা ঘটার আগে মার্কিন প্রশাসন জানতো কিনা। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তিনি সম্প্রতি নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। খুব সম্ভবত তিনি ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার বিষয়টি নিয়ে ও আলোচনা করেছেন।  পম্পেও রপরিকল্পনার সাথে সহিংসতায় উস্কানির ঘটনা মিলে যায়, একই ভাবে মিলে যায় নেতানিয়াহুর সঙ্গেও।”

সাংবাদিক লরেন্স বলেন, এই হত্যাকান্ডের কারণে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরুর বিষয়টি বাধাগ্রস্থ  হওয়ার কিছু নেই।তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কীভাবে এই হত্যাকান্ড কূটনৈতিক প্রক্রিয়াকে আটকে দেয়। তিনি আরো বলেন, আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন বাইডেন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিনা তাহলে আমি বলব এ ব্যাপারে তার সাহসের সাথে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

বিজেপি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার বুনিয়াদকে উপড়ে ফেলতে চাচ্ছে : বিধায়ক কাজী রহিম

সংলাপ ॥ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আব্দুর রহিম (দিলু) বলেছেন, বিজেপি দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার বুনিয়াদকে উপড়ে ফেলতে চাচ্ছে। সম্প্রতি সন্ধ্যায় তিনি গোবর ডাঙা টাউনহলে তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত একসভায় বক্তৃতাকালে এই মন্তব্য করেন।

বিধায়ক কাজী আব্দুর রহিম তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপি’র তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘বিগত ৬ বছরে প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। বরং মানুষে মানুষে অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করে ওরা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার বুনিয়াদকে উপড়ে ফেলতে চাচ্ছে। এক ‘বিষাক্তশক্তি’ পশ্চিমবঙ্গকে দখল করতে ধেয়ে আসছে, এই শান্তির পশ্চিমবঙ্গ, উন্নয়নের পশ্চিমবঙ্গকে দখল করতে আসছে, শান্তি বিঘ্নিত করতে, সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে আসছে। সর্বোপরি ওরা মানুষের সমস্ত সুখ স্বচ্ছন্দকে কেড়ে নেবে, স্বাধীনতা কেড়ে নেবে। ভয়ঙ্কর ওই শক্তিকে প্রতিহত করতে পারে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল দল।’ তিনি আগামী ৯ ডিসেম্বর গোপাল নগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশকে ঐতিহাসিক সমাবেশে পরিণত করার আহ্বান জানান।  

আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৯ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগণা জেলার গোপাল নগরে দলীয়কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন। সেই জন সমাবেশকে ঐতিহাসিক করে তুলতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।  তারই অংশ হিসেবে রবিবার বিকেলে গোবর ডাঙা টাউন হলে রাজ্যেও খাদ্যমন্ত্রী ও জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপস্থিতিতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতি প্রিয় মল্লিক এদিন বনগাঁলোক সভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সমস্ত বিধান সভা কেন্দ্রের জয় নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় দৃষ্টান্তমূলক জমায়েতের জন্য সবাইকে জোরালো তৎপরতা শুরু করতে বলেছেন।   

ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধান সভার মুখ্য সচেতক ও জেলা তৃণ মূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান নির্মলঘোষ, বিধায়ক পার্থভৌমিক, জেলাপরিষদের পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামী, বিধায়ক ধীমানরায়, বিধায়ক পুলিনবিহারীরায়, বিধায়ক সুরজিৎবিশ্বাস, জেলা পরিষদেও সভাধিপতি বীনামন্ডল, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আব্দুর রহিম (দিলু), জেলা পরিষদেও বন ও ভূমিস্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট শিক্ষকনেতা একে এম ফারহাদ, জেলা পরিষদের মন্টর ও সাবেক বিধায়ক গোপাল শেঠ সহ বনগাঁমহকুমার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব।

কাশ্মীর নিয়ে ওআইসিতে প্রথম যৌথ প্রস্তাব গৃহীত

সংলাপ ॥  জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে যৌথ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)।

চলতি সপ্তাহে নাইজারে সংস্থাটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ প্রস্তাবনা গৃহীত হয় বলে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে।খবরে বলা হয়, এ প্রস্তাবনার মাধ্যমে এ প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরাসরি কাশ্মীর নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করা হল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নাইজারের সম্মেলনে কাশ্মীর প্রস্তাব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে গত ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর নাইজারে ৪৭তম ওআইসি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

করোনা, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কে পাশাপাশি এবারের বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। 

সম্প্রতি আরবের জি-২০ নোটে ভারতের যে মানচিত্র ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে কাশ্মীরকে বাদ দেয়া হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ওআইসি-র বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে প্রস্তাব গ্রহণ অভূতপূর্ব ঘটনা। 

পাকিস্তান-চীন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

সংলাপ ॥  পাকিস্তান ও চীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইসলামাবাদ থেকে বার্তা সংস্থাইরনা জানিয়েছে, চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী উয়িফুংখা’র পাকিস্তান সফরে সম্প্রতি এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে চীনের পক্ষে উয়িফুং এবং পাকিস্তানের পক্ষে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ও সেনাবাহিনী চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল নাদিম রেজা সইকরেন। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এই নিয়ে গত তিন মাসে দ্বিতীয়বার পাকিস্তান সফর করলেন। সাক্ষাতে দুই দেশের প্রতিনিধি দল চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগি তার পাশাপাশি সর্বশেষ আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পাকিস্তানি অবকাঠামো গত আধুনিকীকরণ এবং আধুনিক পরিবহননেট ওয়ার্ক বা সিপিইসি’র যথাযথ নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারায় পাকিস্তান কে ধন্যবাদ জানান।চীন ও পাকিস্তানর মধ্যে গড়ে ওঠা বিশেষ অর্থনৈতিক । করিডরটি চীনের প্রস্তাবিত ওয়ানবেল্ট-ওয়ান রোড নীতির অন্তর্গত এবং এটি চীনের অর্থ সহায়তায় গড়ে তোলা হচ্ছে।

নিজের কথা – ৪৫

শাহ্ মো. লিয়াকত আলী ॥ সূফী সাধক শেখ আব্দুল হানিফ বলেন ,  ” সবার উপর সত্যমানুষ, তাহার উপরে নাই। ” এ সত্যমানুষ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ” সত্যমানুষ হউন, দেশ ও জাতির কল্যাণ হবেই হবে।” আবার মানুষ সম্পর্কে সূফী সাধক আনোয়ারুল হক বলেন, ” মানুষ যদি হতে চাও মনুষ্যত্বকে জাগ্রত কর।”  

সাধকগণের এসকল বাণীর আলোকে বলা যায়, মনুষ্যত্বের জাগরণ ঘটানো ব্যতীত কেউ প্রকৃতপক্ষে মানুষ হতে পারে না । এখানে মনুষ্যত্ব বলতে মানুষের সত্ত্বা বা মানবসত্বাকে বুঝায়।  কী এই মানবসত্ত্বা যার জাগরণ ব্যতীত  প্রকৃতপক্ষে কেউই মানবসত্ত্বাধীকারী হতে পারে না। আর মনবসত্ত্বাধীকারী না হলে  সত্যমানুষ দূরের কথা কেবল  আকৃতিগত কোন মানুষকেই প্রকৃত অর্থে মানুষ বলা যায় না। আকৃতিগত মানুষ বলতে কেবলই গুণাবলীহীন তথা কান্ডজ্ঞানহীন দেহরূপী মানুষকে বলা হয়। আর কান্ডজ্ঞানহীন দেহরূপী মানুষ দেশ ও জাতির কোন  কল্যাণ সাধন করতে পারে না।

সত্য শব্দটি এমন এক সত্ত্বাকে বুঝায় যে সত্ত্বার আছে সৎ আত্মা। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে যে সত্ত্বার সৎ আত্মা নেই তা হলো সত্য বিবর্জিত অসৎআত্মা। সৎ শব্দটিতে সঠিক কর্ম সম্পাদনের শক্তির উৎসকে বুঝায় যা অসৎ শব্দটিতে বুঝায় না। একমাত্র জ্ঞানশক্তিই পারে সঠিক অর্থাৎ নির্ভুল কর্ম সম্পাদন করতে। তাই সৎকর্ম সম্পাদন করার ক্ষমতা যোগায় জ্ঞানশক্তি। আর অজ্ঞতা সৎকর্ম সম্পাদন করার ক্ষমতা রাখেনা। কর্ম জগতের সঠিক বেঠিক পার্থক্য বিচার করে সঠিক কাজ করতে পারে একমাত্র জ্ঞানশক্তি। অজ্ঞতা শক্তি এ কাজটি করতে পারে না। তাই সঠিক কর্ম নির্ভর জীবনযাপন করার জন্য প্রত্যেক শান্তিকামী নয় নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য  বিষয়। জ্ঞানশক্তি একমাত্র  স্রষ্টার। তিনি তাঁর জ্ঞানশক্তির সাহায্যে সৃষ্টি জগতের সবকিছু নির্ভুলভাবে সৃষ্টি করেছেন। তাই সত্য তথা পরম সৎ আত্মার  উৎস হলেন একমাত্র  স্রষ্টার। আর স্রষ্টার কৃপায় তাঁর জ্ঞানজগতের জ্ঞানশক্তি আহরণপূর্বক সঠিক কর্ম করে জীবনযাপন করার ক্ষমতা অর্জন যাঁরা করতে পারেন কেবল তাঁরাই হলেন একমাত্র সত্যমানুষ।

উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায়, আমরা সকলেই  স্রষ্টার জ্ঞান জগতের সৃষ্টি। আমাদের সকলের আছে  কালজয়ী আত্মা যা অসীম পরমাত্মা তথা স্রষ্টার হুকুম তথা আদেশ থেকে একই সময়ে সৃষ্টি হয়েছে। স্রষ্টার সৃষ্ট জ্ঞানের জগৎ পরিদর্শনের জন্য আমাদের আত্মার যে শক্তি ও ক্ষমতা দরকার হয় তা আসে একমাত্র  স্রষ্টার জ্ঞান জগতের জ্ঞানশক্তি থেকে। তাই আত্মার খোরাক হলো  স্রষ্টার জ্ঞানশক্তি যা অর্জনপূর্বক সুস্থ ও শক্তিবান থাকা প্রত্যেক আত্মার জন্য অপরিহার্যশর্ত ।  যে সকল আত্মা পর্যায়ক্রমে  স্রষ্টার সৃষ্ট মর্তলোক তথা পার্থিব সৃষ্টি জগৎ পরিদর্শনের জন্য সাময়িকভাবে  দেহধারণপূর্বক পৃথিবীতে আগমন করার সুযোগ লাভ করে তাদের নিজেদের মৃত্যুঞ্জয়ী রাখার জন্য যেমন দরকার জ্ঞান অর্জন তেমনিভাবে  দেহকে সুস্থ সবল রাখার জন্য সংগ্রহ করা দরকার দেহের খোরাক। যা  স্রষ্টার পরম কৃপায়  পৃথিবীতে সরবরাহ করা হয়। যে সকল আত্মা  মৃত্যুঞ্জয়ী জীবনযাপনের ক্ষেত্রে মৃত্যুঞ্জয়ী  স্রষ্টার গুণাবলী অর্জন ও ধারণ করার জন্য দৈহিক খোরাক তথা পার্থিব জ্ঞান ও আত্মিক খোরাক তথা অপার্থিব আত্মিক জ্ঞান অর্জন করতে সচেষ্ট থাকেন তাঁরাই হলেন মূলত সফল সত্যমানুষ। (চলবে)