বাঙালির ব্যাকুলতা : স্বাধীনতা দিবস ৭ মার্চ
বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে জাতিকে মুক্ত করতে এবং চরম সত্যকে প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদকেই এগিয়ে আসতে হবে। সরকার সংকীর্ণমুক্ত হয়ে দূরদর্শিতার পরিচয় দিক এটাই বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। অতীতের দলীয় অদূরদর্শিতায় ভুলের প্রায়শ্চিত্ত সত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই করতে হয়। তবেই জাতি কৃতজ্ঞ থাকে সেই রাজনৈতিক দলের প্রতি।
* ৭ মার্চ বাংলার মানুষের শপথের দিন।
* ৭ মার্চ থেকে বাংলার মানুষ জীবন উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলো।
* ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি বাক্য বাংলার মানুষের কাছে ছিল সত্য, বাস্তব ও প্রেরণামুখী।
* বাংলা আর বাংলার মানুষ যতদিন থাকবে ৭ মার্চ থাকবে।
* ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ একটি জাতিকে স্বাধীন করার জন্য অনুপ্রেরণা, জাতির অধ্যাত্মশক্তি এবং বিশ্ব স্বীকৃত।
সংলাপ ॥ বাংলা-বাঙালি, বাংলাদেশ-এর জাতীয় জীবনে ৭ মার্চ ধ্রুব সত্য। সেই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে, ১৫ কোটি মানুষের সাক্ষী গ্রহণ করা হলে, ৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস অবশ্যই পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা ছিলো যুদ্ধের ঘোষণা, মুক্তির ঘোষণা, যুদ্ধের কলা-কৌশলের ঘোষণা সর্বোপরি সরকার পরিচালনার ঘোষণা। পরবর্তীকালে যা কিছু ঘটেছে তা ৭ মার্চের ফসল। তাই ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার গঠন ছিল জাতীয় চেতনার প্রকাশিত সত্য। ৭ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল তৎকালীন রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীদের অদূরদর্শিতার ফলে সত্য-মিথ্যার দোলায় তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করে জাতিকে বিভ্রান্তির বেড়াজালে আটকে ফেলেছে। তার ফল লাভ করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। ৫ বছরের মধ্যে বাংলার মানুষ এই মাটিতেই দেখেছে – মুসতাক গং, জিয়া গং এবং যুদ্ধাপরাধীদের কার্যকলাপ ও মিথ্যাচারের সুযোগে কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে সন্ত্রাস – যা আজো চলছে।
তাই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংসদে পাস করিয়ে ৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করুক বর্তমান সরকার, এটাই এখন জাতির প্রাণের দাবী। ওই সময়ের বিশ্বের কোটি কোটি সাক্ষী আর ১৫ কোটি বাঙালিকে জাতীয় জীবনে সত্যের পূজারী হতে বর্তমান সংসদ ও সরকার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিনটি স্বাধীনতা দিবস করার জন্য দিক্ নির্দেশনামূলক সিদ্ধান্ত দিক এবং সংসদে পাস হোক-এটাই হবে বাঙালি জাতির সত্য প্রতিষ্ঠার নিদর্শন।
এটা সত্য, সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে বাধা আসবে। সংবিধানের পরিবর্তন ও সংশোধন এতদিন পরে হলেও হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা এ বিষয়ে এগিয়ে আসলে সেটা হবে জাতির জন্য সত্য প্রতিষ্ঠার প্রেরণা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দিন বদলের পালায় ডিজিটাল বাংলার মানুষকে বাঙালি হয়ে বাঁচতে হলে, বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসাবে জাতীয় শ্রদ্ধার আসনে চিরস্থায়ী ব্যবস্থায় বসাতে হলে এবং সত্য প্রতিষ্ঠায় বাঙালি আপোষহীন এই প্রত্যয়ে মানবজাতির শ্রদ্ধাঞ্জলি পেতে হলে এই সংসদ থেকে পরিবর্তনের বিল এনে আপনার সরকার ও সংসদ থেকে ঘোষণা আসুক ‘৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস’-এটাই জাতির প্রত্যাশা। সত্য-মিথ্যার দোলাচাল সব ভেঙ্গে সত্য প্রতিষ্ঠিত হোক বাঙালির মনে-প্রাণে। গর্তের মধ্যে ঢুকে যাক ষড়যন্ত্রকারীরা ও বিষাক্ত সাপের বাচ্চাগুলো এবং বন্ধ করুন গর্তগুলো – শান্তির সুবাতাস গ্রহণ করুক বাঙালি জাতি উন্নয়নের পথে।