বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ ফোর্স এখন বাংলাদেশে

সংলাপ ॥ রিজার্ভ আর্মি, রিজার্ভ সোলজার অথবা রিজার্ভ ফোর্স বা নিয়মিত বাহিনী বলতে একটি দেশের সেসব সৈন্যদের বোঝায় যারা তাদের সিভিলিয়ান লাইফের পাশাপাশি মিলিটারিতেও দায়িত্ব পালন করে। রিজার্ভ ফোর্সের সদস্যদের সশস্ত্র সৈনিকদের মতই ট্রেনিং দেয়া হয়। প্রথমে তারা বেসিক কমব্যাট ট্রেনিং (BCT) ও পরে এডভান্সড ইন্ডিভিউজুয়াল ট্রেনিং (AIT) কোর্স সম্পন্ন করে, তারপর এরা যে যার মতো বেসামরিক কর্মজীবনে ফিরে যায়। কিন্তু তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মতো অস্ত্র বহনের সুযোগ দেয়া হয় না। রিজার্ভ সৈন্যদের যুদ্ধের স্কিল ধরে রাখার জন্য মাসে একদিন এবং বছরে অন্তত দুই সপ্তাহ বাধ্যতামূলক ট্রেনিং নিতে হয়, যাতে করে তারা তাদের স্কিল গুলো ধরে রাখতে পারে। তবে রিজার্ভ ফোর্স আবার মিলিটারির রিজার্ভ ফরমেশন থেকে আলাদা, কারণ রিজার্ভ ফোর্সকে মিলিটারি কমান্ডাররা যুদ্ধে ডেপ্লয় করতে পারে না কেবল প্রতিকূল পরিস্থিতিতে, জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে অথবা জরুরী অবস্থায় সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত ম্যানপাওয়ারের প্রয়োজন হলে তখন এদের ব্যবহার করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও রিজার্ভ ফোর্সের অংশ।

এদের স্থায়ী সদস্যদের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। রিজার্ভ ফোর্সের আরেকটা সুবিধা হলো পিস টাইমে সেনাবাহিনীতে সদস্য নিয়োগ দিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয় না, ফলে দেশের সামরিক ব্যয় অনেক কমে আসে এবং সে অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা যায়। এটিকে সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ দেয়ার সবচেয়ে পুরাতন পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ প্রাচীনকালে নিয়মিত বাহিনী বলতে কিছু ছিলো না।

বর্তমানে বাংলাদেশের পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় রিজার্ভ ফোর্স রয়েছে। এদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্য। যার সংখ্যা প্রায় ৬৮,৪০,০০০ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভিয়েতনাম, যাদের রিজার্ভ ফোর্স  প্রায় ৫০,০০,০০০ ! সাম্প্রতিক সময়ে ভারতো রিজার্ভ ফোর্স বাড়ানোর জন্য TOUR OF DUTY প্রোগ্রাম শুরু করেছে।