বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘চেতনায় বিপ্লব-আমরা বাঙালি।’
একজন খাঁটি বাঙালি কখনো মিথ্যা বলে না।
একজন খাঁটি বাঙালি একজন কুরআনিক মুসলিম।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মসজিদের পড়–য়ারা অনেকেই টাকা-পয়সার মোহে সমাজের সর্বস্তরে ষড়যন্ত্র ও অশান্তি সৃষ্টির জন্য মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিপনার কাজে লিপ্ত রয়েছে – এইসব বিভ্রান্তদের তালিকা তৈরি ও ভালমানুষ করার জন্য সমাজের সবাই এগিয়ে আসি।
বর্তমানে শিক্ষার নামে ইংরেজি, ধর্মের নামে আরবী আর সংস্কৃতির নামে হিন্দী ভাষার আগ্রাসনের কবলে পড়ে পাঁচ হাজার বছরের বাংলা ও বাঙালি ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে। তাই প্রতিটি বাঙালির জীবনে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে অন্তরে ধারণ, লালন ও পালন করি।
সকল শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত লোকদের জন্ম গ্রামে। দেশকে সমৃদ্ধ করতে জন্মস্থান গ্রামের সাথে শহর-নগরের ব্যবধান কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি।

ব্রিটিশ আমলের পন্ডিতদের করা ‘পলিটিক্স’ এর বাংলা অনুবাদ ‘রাজনীতি’ শব্দটির পরিবর্তে দিন বদলের পালায় ‘জননীতি’ শব্দটি চালু করি। জননীতি-অর্থাৎ শিক্ষা, সাহিত্য, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ত্যাগী, সৎ ও মুক্তচিন্তার যোগ্য ব্যক্তিত্বদেরকে কাজের সুযোগ করে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করি।
‘সত্য বলি, সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হই, নিজে বাঁচি-দেশ ও জাতিকে বাঁচাই।’
ধৈর্যশীল হয়ে, অন্যের দোষ ক্ষমা করে আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা পাওয়ার প্রার্থী হই।
কর্ম ও চিন্তায় সমন্বয় ঘটিয়ে নিজের পরিচয় দিই।
প্রতিটি কর্মের বিশ্লেষণ করি এবং আত্মিক উন্নতি করি।
ভোগের আনন্দ সাময়িক, ত্যাগের আনন্দ চিরন্তন। তাই কর্ম করি সৃষ্টির সেবাতেই। সেই ফুল হই – যে ফুল প্রস্ফুটিত হয় কিন্তু ঝরে যায় না।