হোম পেজ

১৪২৮: তোমায় নিয়ে আশাবাদ

১৪২৮: তোমায় নিয়ে আশাবাদ সংলাপ ॥ বাঙালি জাতির স্বপ্নগুলো বাস্তব হোক নতুন বছরে। অন্ধকার ফিকে হোক ক্রমশ, অনাবিল আলোয় ভরে উঠুক বংলাদেশ। মানব সভ্যতার ইতিহাস সাক্ষী, নেতির জয় কখনও হয়নি। বাঙালি জাতি খাদের কিনার থেকেও বার বার ফিরে এসেছে। তাই চোখে স্বপ্নটা থাক বর্তমান। অন্ধকার কাটিয়ে আলো আনার দায়িত্বটা সকলকেই নিতে হবে। সকলকে নতুন বছরের হার্দিক শুভেচ্ছা। নতুন বছর প্রত্যেকের ভাল কাটুক। ভাল থাকাটা, ভাল হওয়াটা বড্ড অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। একটা কালো অন্ধকার মেঘ বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নতুন একটা বছর সঙ্গে নিয়ে হাজির হবে বৈশাখের সকালে, ১৪২৮ পুরো সময়টা সেই সকালের মতোই ঝকঝকে হয়ে থাকুক,  উজ্জ্বল হয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে যাক, বৈশাখে থাক এই আশাবাদ। গত বছরের আবর্জনা দূর হওয়ার প্রত্যাশায়, সর্ব অঙ্গে মলীনতা মেখে আমরা নতুন বছরকে আবাহন করেছি। অতীত ভয় দেখায়। আতঙ্ক তৈরি করে। অন্ধকার বাড়িয়ে দেয়। করোনার থাবায় ১৪২৭ এর পয়লা বৈশাখ জুড়ে ছিল না উৎসব। বারো মাসে তালিকায় বাংলা বছরের প্রথম দিনটা নিজস্ব মহিমায় স্থান করে নিতে না পারলেও হৃদয়ের বাঙালির বর্ষবরণের আনন্দ। আবার বৈশাখ, দেশ জুড়ে নতুন জামা, দোকানে দোকানে হালখাতা, মিষ্টিমুখ, উষ্ণ [বিস্তারিত...]

‘চেতনায় বিপ্লব-আমরা বাঙালি’ বাঙালির নববর্ষ ১৪২৮ ভাবনা

‘চেতনায় বিপ্লব-আমরা বাঙালি’ বাঙালির নববর্ষ ১৪২৮ ভাবনা বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘চেতনায় বিপ্লব-আমরা বাঙালি।’ একজন খাঁটি বাঙালি কখনো মিথ্যা বলে না। একজন খাঁটি বাঙালি একজন কুরআনিক মুসলিম। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মসজিদের পড়–য়ারা অনেকেই টাকা-পয়সার মোহে সমাজের সর্বস্তরে ষড়যন্ত্র ও অশান্তি সৃষ্টির জন্য মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিপনার কাজে লিপ্ত রয়েছে - এইসব বিভ্রান্তদের তালিকা তৈরি ও ভালমানুষ করার জন্য সমাজের সবাই এগিয়ে আসি। বর্তমানে শিক্ষার নামে ইংরেজি, ধর্মের নামে আরবী আর সংস্কৃতির নামে হিন্দী ভাষার আগ্রাসনের কবলে পড়ে পাঁচ হাজার বছরের বাংলা ও বাঙালি ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে। তাই প্রতিটি বাঙালির জীবনে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে অন্তরে ধারণ, লালন ও পালন করি। সকল শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত লোকদের জন্ম গ্রামে। দেশকে সমৃদ্ধ করতে জন্মস্থান গ্রামের সাথে শহর-নগরের ব্যবধান  কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। ব্রিটিশ আমলের পন্ডিতদের করা ‘পলিটিক্স’ এর বাংলা অনুবাদ ‘রাজনীতি’ শব্দটির পরিবর্তে দিন বদলের পালায়  ‘জননীতি’ শব্দটি চালু করি। জননীতি-অর্থাৎ শিক্ষা, সাহিত্য, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ত্যাগী, সৎ ও মুক্তচিন্তার যোগ্য ব্যক্তিত্বদেরকে কাজের সুযোগ [বিস্তারিত...]

সত্যবাণী

সত্যবাণী ইসলাম জাগো! মুসলিম জাগো! আল্লাহ্ তোমার একমাত্র উপাস্য, কোরআন তোমার সেই ধর্মের, সেই উপাসনার মহাবাণী, - সত্য তোমার ভূষণ, সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতা তোমার লক্ষ্য, - তুমি জাগো! মুক্ত বিশ্বের বন্য শিশু তুমি, তোমায় পোষ মানায় কে? দুরন্ত চঞ্চলতা, দুর্দমনীয় বেগ, ছায়ানটের নৃত্য-রাগ তোমার রক্তে, তোমাকে থামায় কে? উষ্ণ তোমার খুন, মস্ত তোমার জিগর, দারাজ তোমার বিল, তোমাকে রুখে কে?  পাষাণ কবাট তোমার বক্ষ, লৌহ তোমার পঞ্জর, অজেয় তোমার বাহু - তোমায় মারে কে? জন্ম তোমার আরবের মহামরুতে, প্রাণ প্রতিষ্ঠা তোমার পর্বত গুহায়, উদাত্ত তোমার বিপুল বাণীর প্রথম উদ্বোধন ‘কোহ-ই তুরের’ নাঙ্গা শিখরে, - তুমি অমর, তুমি চির জাগ্রত। ‘আল্লাহু আকবর’ তোমার ওঙ্কার, আলি তোমার হুঙ্কার, তুমি অজেয়! বীর তুমি, তোমার চিরন্তন মুক্তি, শাশ্বত বন্ধনহীনতা, ‘আজাদীর’ কথা ভুলায় কে? তোমার অদম্য শক্তি, দুর্দমনীয় সাহস, তোমার বুকে খঞ্জর চালায় কে? ইসলাম ঘুমাইবার ধর্ম নয়, মুসলিম শির নত করিবার জাতি নয়। তোমার [বিস্তারিত...]

চেতনায় বাঙালিত্ব

বাহাদুর বেপারী ॥ আমাদের পরিচয় বাঙালি, আমাদের অহংকার বাঙালিত্ব। আমাদের অস্তিত্বের অংশ মা-মাতৃভাষা-মাতৃভূমি। বাংলা ভাষা পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা। বাংলার প্রকৃতি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর প্রকৃতি। বাংলার সম্পদ আমাদের মানুষ। বাঙালি  অতিথি পরায়ণ জাতি। এই ভূখন্ড, জাতির ধর্ম কিন্তু ইসলাম না, হিন্দু না, বৌদ্ধ না, খৃষ্টানও না। এর নিজস্ব ধর্ম আছে। এই ধর্মের নাম মানবতা। সেই ধর্মেরই একটি কাজ অতিথি পরায়ণতা। বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু সব ষড়যন্ত্র মুখ থুবরে পড়েছে, বাঙালি পৃথিবীর সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বারবার। জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বজ্র কঠিন, সুকোমল, মহান ডাকে বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে স্বাধীন হয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তৎকালীন সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল এই বাঙালিরাই। দেড় কোটি বাঙালিকে ঔষধ দিয়ে, অস্ত্র-ট্রেনিং দিয়ে, খাদ্য, আশ্রয় দিয়ে জাগ্রত রেখেছে এই বাঙালিরাই। ওই সীমানা কিন্তু বাংলার বাইরে ছিল না। ওই পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা রাজ্যগুলোই ছিল বাঙালি অধ্যুষিত এবং তারাই আমাদের [বিস্তারিত...]

১৪২৮: তোমায় নিয়ে আশাবাদ

সংলাপ ॥ বাঙালি জাতির স্বপ্নগুলো বাস্তব হোক নতুন বছরে। অন্ধকার ফিকে হোক ক্রমশ, অনাবিল আলোয় ভরে উঠুক বংলাদেশ। মানব সভ্যতার ইতিহাস সাক্ষী, নেতির জয় কখনও হয়নি। বাঙালি জাতি খাদের কিনার থেকেও বার বার ফিরে এসেছে। তাই চোখে স্বপ্নটা থাক বর্তমান। অন্ধকার কাটিয়ে আলো আনার দায়িত্বটা সকলকেই নিতে হবে। সকলকে নতুন বছরের হার্দিক শুভেচ্ছা। নতুন বছর প্রত্যেকের ভাল কাটুক। ভাল থাকাটা, ভাল হওয়াটা বড্ড অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। একটা কালো অন্ধকার মেঘ বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নতুন একটা বছর সঙ্গে নিয়ে হাজির হবে বৈশাখের সকালে, ১৪২৮ পুরো সময়টা সেই সকালের মতোই ঝকঝকে হয়ে থাকুক,  উজ্জ্বল হয়ে উন্নতির পথে এগিয়ে যাক, বৈশাখে থাক এই আশাবাদ। গত বছরের আবর্জনা দূর হওয়ার প্রত্যাশায়, সর্ব অঙ্গে মলীনতা মেখে আমরা নতুন বছরকে আবাহন করেছি। অতীত ভয় দেখায়। আতঙ্ক তৈরি করে। অন্ধকার বাড়িয়ে দেয়। করোনার থাবায় ১৪২৭ এর পয়লা বৈশাখ জুড়ে ছিল না উৎসব। বারো মাসে তালিকায় বাংলা বছরের প্রথম দিনটা [বিস্তারিত...]

শান্তির জন্য ‘সূফী ইসলাম’ ডাক দিয়ে যায়

শাহ্ ফুয়াদ ॥ অসংখ্য সূফী সাধক-অলি-আউলিয়া-দরবেশের পূণ্য কর্মে এদেশে শান্তির বার্তা হিসেবে এসেছিল ইসলাম ধর্ম। কিন্তু ইসলাম নিয়ে এ বাংলায় রাজনীতি নতুন নয়। ১৯৭১ সালের এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মানুষ দেখেছিল ধর্মের নামে কী জঘন্য কাজ করেছিল এদেশেই জন্ম নেয়া পাপীষ্ঠ কিছু কিছু মানুষ। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেদিন ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা, নারী নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছিল ধর্মব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার অবকাশ এ লেখায় নেই। সংক্ষেপে বলতে গেলে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্টের পর ক্ষমতায় জুড়ে বসা পাকিস্তানী শাসকচক্র তাদের রাজনৈতিক তথা কায়েমী স্বার্থে ইসলাম ধর্মকে ব্যবহারের মোক্ষম সুযোগ পেয়ে বসে এবং এর অপব্যবহার করতে থাকে। সদ্য জন্মলাভকারী পাকিস্তান রাষ্ট্র কায়েমী স্বার্থে ব্যবহারের উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠে এই পবিত্র ইসলাম ধর্ম । এই ধর্মব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়দাতা পাকিস্তানী শাসকচক্র ছিলো একে অপরের পরিপূরক। বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও দেশবাসী যখন আজ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে তখন পাকিস্তানী শাসনামলের [বিস্তারিত...]

সময়ের সাফ কথা.... নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলে দাবি করা

অনেক বাঙালিই সাম্প্রদায়িক রোগে আক্রান্ত নিরাময় ঘটাতে হবে মানসিক স্থবিরতার সংলাপ ॥ গলদ রোগ রয়ে যাচ্ছে চেতন জগতের শেকড়েই। সমস্যাটা শেকড়ে বলেই রোগমুক্তিটা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ওপরে ওপরে চিকিৎসা করে লাভ খুব হবে না, গভীরে গিয়ে নিরাময় ঘটাতে হবে এই মানসিক স্থবিরতার। সহিষ্ণুতা, উদারতা, মানবিকতা ইত্যাদি কোনও জাতির বা ভাষার বা ধর্মের বা বর্ণের ঐকান্তিক অধিকার বা পরিচিতি নয়। এই সবই আসলে চলমান সভ্যতার শিক্ষা, প্রতিটি সভ্য মানুষের পরিচিতি, প্রতিটি সভ্য মানুষের আবশ্যিক বৈশিষ্ট। কিন্তু সে কথা আমরা স্মরণে রাখছি না। সাম্প্রদায়িক হিংসার প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং সভ্যতার দোহাই পেড়ে উন্মত্তদের থামতে বলছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই বার বার বলছেন, ‘বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি’, অথবা ‘বাংলাদেশে এ সব হয় না’ অথবা ‘বাঙালির সংস্কৃতিতে এ সব নেই’। আমাদের প্রত্যেককে স্মরণ রাখতে হবে, পৃথিবীর সব সভ্য মাটিই দুর্জয় ঘাঁটি, পৃথিবীর কোনও সভ্য প্রান্তেই এ সব হয় না, পৃথিবীর কোনও সভ্য [বিস্তারিত...]

চেতনায় বিপ্লব -আমরা বাঙালি

সংলাপ ॥ বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘চেতনায় বিপ্লব-আমরা বাঙালি।’ * একজন খাঁটি বাঙালি কখনো মিথ্যা বলে না। * একজন খাঁটি বাঙালি একজন কুরআনিক মুসলিম। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মসজিদের পড়–য়ারা অনেকেই টাকা-পয়সার মোহে সমাজের সর্বস্তরে ষড়যন্ত্র ও অশান্তি সৃষ্টির জন্য মিথ্যাচার, সন্ত্রাসী, ধর্মান্ধতা ও জঙ্গিপনার কাজে লিপ্ত রয়েছে - এইসব বিভ্রান্তদের তালিকা তৈরি ও ভালমানুষ করার জন্য সমাজের সবাই এগিয়ে আসি। * বর্তমানে শিক্ষার নামে ইংরেজি, ধর্মের নামে আরবী আর সংস্কৃতির নামে হিন্দী ভাষার আগ্রাসনের কবলে পড়ে পাঁচ হাজার বছরের বাংলা ও বাঙালি ঐতিহ্য ধ্বংসের পথে। তাই প্রতিটি বাঙালির জীবনে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে অন্তরে ধারণ, লালন ও পালন করি। * সকল শিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত লোকদের জন্ম গ্রামে। দেশকে সমৃদ্ধ করতে জন্মস্থান গ্রামের সাথে শহর-নগরের ব্যবধান  কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি। * ব্রিটিশ আমলের পন্ডিতদের করা ‘পলিটিক্স’ এর বাংলা অনুবাদ ‘রাজনীতি’ শব্দটির পরিবর্তে দিন বদলের পালায়  ‘জননীতি’ শব্দটি চালু করি। জননীতি-অর্থাৎ শিক্ষা, সাহিত্য, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতিটি [বিস্তারিত...]

সত্য প্রতিষ্ঠার সময় বহমান

সত্য প্রতিষ্ঠার সময় বহমান বাঙালির ব্যাকুলতা : স্বাধীনতা দিবস ৭ মার্চ বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে জাতিকে মুক্ত করতে এবং চরম সত্যকে প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদকেই এগিয়ে আসতে হবে। সরকার সংকীর্ণমুক্ত হয়ে দূরদর্শিতার পরিচয় দিক এটাই বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। অতীতের দলীয়  অদূরদর্শিতায় ভুলের প্রায়শ্চিত্ত সত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই করতে হয়। তবেই জাতি কৃতজ্ঞ থাকে সেই রাজনৈতিক  দলের প্রতি। * ৭ মার্চ বাংলার মানুষের শপথের দিন। * ৭ মার্চ থেকে বাংলার মানুষ জীবন উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলো। * ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি বাক্য বাংলার মানুষের কাছে ছিল সত্য, বাস্তব ও প্রেরণামুখী। * বাংলা আর বাংলার মানুষ যতদিন থাকবে ৭ মার্চ থাকবে। * ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ একটি জাতিকে স্বাধীন করার জন্য অনুপ্রেরণা, জাতির অধ্যাত্মশক্তি এবং বিশ্ব স্বীকৃত। সংলাপ ॥ বাংলা-বাঙালি, বাংলাদেশ-এর জাতীয় জীবনে ৭ মার্চ ধ্রুব সত্য। সেই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে, ১৫ কোটি মানুষের সাক্ষী গ্রহণ করা হলে, ৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস অবশ্যই পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা ছিলো যুদ্ধের ঘোষণা, [বিস্তারিত...]

নতুন আলোয় উদ্ভাসিত মার্চ ২০২১!

শেখ উল্লাস ॥ মার্চ ১৯৭১ থেকে মার্চ ২০২১। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছর। ৫০ বছর আগের মার্চ মাস আর আজকের মার্চ মাসের প্রেক্ষাপট নিশ্চয়ই এক নয়। এক হওয়ার কোনো কারণও নেই। পরিবর্তন, বিবর্তন ও রূপান্তরের মধ্য দিয়েই তো সময় এগিয়ে যায়। এই বাস্তবতা ও পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে যারা চলতে পারে না তারাই হারিয়ে যায়। তবে মিথ্যাচার, মুনাফেকির আশ্রয় নিয়ে যারা টিকে থাকে, সমাজ ও মানুষের কল্যাণে এমন কি নিজেদের কল্যাণেও কিছুই করতে পারে না। সমাজে শুধু অশান্তি, বৈষম্য, অনাচার ও মিথ্যাচারের ধুম্রজালই তৈরি করতে পারে। কেউ কেউ আবার শত কোটি, হাজার কোটি টাকার মালিকও বনে যেতে পারে। কিন্তু টিকিয়ে রাখতে পারে না। ১৯৭১-এ বাংলার মানুষের বাস্তবতা ও চাওয়া-আকাঙ্খা যারা বুঝতে চায়নি, যারা নিজেদের স্বার্থে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করতে গিয়ে রাজাকার হিসেবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করেছিল, কোটি মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়েছিল তাদের কথাও ঘৃণাভরে [বিস্তারিত...]

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নাগরিকদের কণ্ঠরোধ!!!

মারুফ রসুল।। আইন তৈরি ও তার প্রয়োগের ওপর রাষ্ট্রের চরিত্র নির্ভর করে। বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে নাগরিকদের কণ্ঠরোধ করার যে দুঃশাসন নীতি সরকার গ্রহণ করেছে তা থেকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনিক চরিত্র বোঝা যায়। একটি নিপীড়নমূলক আইন কেবল তৈরি নয়, তার প্রয়োগের ক্ষেত্রেও সরকারের বদ-উদ্দেশ্য বোঝা যায়। লেখক মোশতাক আহমেদ, কার্টুনশিল্পী আহমেদ কবির কিশোর বা এ যাবৎকালে এই নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃতদের তালিকা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়, এটা করাই হয়েছে তথাকথিত ‘সরকারবিরোধী’ ও ‘তার তল্পিবাহকবিরোধী’ মন্তব্য দমনের জন্য। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের কোন আইনে আছে যে, সরকারের বিরোধিতা করা যাবে না? সরকার ও তার প্রশাসনের লোকজন দুর্নীতি করবে, লুটপাট করবে, চুরি করবে, ক্ষমতার অপব্যবহার করবে আর জনগণ তার বিরোধিতা করবে না? সমালোচনা করবে না? এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক ধারাগুলো নিয়ে বহুদিন ধরেই সচেতন নাগরিকরা প্রতিবাদ করে আসছেন। এই আইনের খড়গ সিংহভাগ সময়েই লেখক-প্রকাশক-বাউলশিল্পী-ব্লগারসহ সচেতন নাগরিকদের ওপর প্রয়োগ [বিস্তারিত...]

সময়ের সাফ কথা....বঙ্গবন্ধুফ্রেমে বাঁধানো একটি ছবিমাত্র

নজরুল ইশতিয়াক ॥ ছবির রাজ্যে, ছবির হাটে বিস্তর ক্রেতা বিক্রেতা। একটি ছবির পরিচয়, নির্বাক ছবির গায়ে লাগিয়ে সেলফি, পোষ্ট, লাইক, শেয়ার, কিছু মুখস্থ বয়ান, এই তো চলছে বঙ্গবন্ধুর নামে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে, অলিতে গলিতে দেয়াল লিখনে, স্টিকারে, ব্যাজ-ক্যাপে, অফিসের দেয়ালে, ড্রয়িং রুমে, টি শার্টে বঙ্গবন্ধুর ছবি। পোট্রেট, ভাস্কর্যে, ব্যানারে, প্রোফাইল পিকে বঙ্গবন্ধু। বাঙালির জাতির হাজার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নানাভাবে বিভিন্ন জায়গায় থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। এটাই তো দেশপ্রেম, এটাই তো সচেতনতা, ভালোবাসা একটি প্রকাশ। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ঘরে বাইরে সব জায়গায় বঙ্গবন্ধু থাকবে এটাই তো আমরা চাই। বঙ্গবন্ধুকে ধারণ লালন পালনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাঙালি জাতির সার্বিক উন্নতি অগ্রগতি। তিনিই তো আমাদের দিশারী। কিন্তু ছবির মানুষটি যদি কেবলই ফ্রেমে বাঁধানো ছবি হয়, বছরে কালে ভাদ্রে স্মরণ সভার বিষয়বস্তু হয়, দু’লাইন লেখনি, কিংবা কেবল আনুষ্ঠানিকতার গল্প হয়, তবে জাতি হিসাবে চরম লজ্জাকর পরিস্থিতির মুখোমুখি [বিস্তারিত...]

সুপ্রভাত বাংলাদেশ বাংলাদেশের পোশাক খাত ছাড়িয়ে গেল ভিয়েতনামকে

সুপ্রভাত বাংলাদেশ বাংলাদেশের পোশাক খাত ছাড়িয়ে গেল ভিয়েতনামকে সংলাপ ॥ করোনার কারণে এলোমেলো সারাবিশ্ব। যার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। সেই করোনাকালীন আবহের মাঝেই তৈরি পোশাক খাতে ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলল বাংলাদেশ। জাতিসংঘ ও বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার অঙ্গ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টার আইটিসির সর্বশেষ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দেখা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ১২ মাসে পোশাকের বিশ্ববাজারে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম রফতানি করেছে ২৭ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার আর বাংলাদেশ করেছে ২৯ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। অর্থাৎ পোশাক রফতানি করে ভিয়েতনামের চেয়ে ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ। অথচ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত ১১ মাসে বাংলাদেশের চেয়ে ভিয়েতনামের আয় ২ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার বেশি ছিল। ওই সময়ে তৈরি পোশাক থেকে বাংলাদেশের রফতানি আয় ছিল ২৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার আর ভিয়েতনামের ছিল ২৮ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকরা বলছেন, [বিস্তারিত...]

দুর্নীতির অভিযোগে কারাদন্ড ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির

দুর্নীতির অভিযোগে কারাদন্ড ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির সংলাপ ॥ দুর্নীতির অভিযোগে ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে ৩ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিল একটি ফরাসি আদালত। তবে ৩ বছরের মধ্যে ২ বছররে কারাদন্ড মকুব করা হয়েছে। ফলে শারীরিক ভাবে জেলে যেতে হবে না সারকোজিকে। কী অভিযোগ সারকোজির বিরুদ্ধে? ২০০৭ সালের ভোটের প্রচারের জন্য ল’রিয়েল এর উত্তরাধিকারীর কাছ থেকে বেআইনি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সারকোজির বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত চলাকালীন একটি ফোন নম্বরে আড়ি পাতেন তদন্তকারীরা। তাতেই এই লেনদেনের কথোপকথন ধরা পড়ে। পরে তদন্তে প্রমাণিত হয়, একটি ভুয়ো নামে ওই ফোন নম্বর নথিবদ্ধ করা হয়েছিল। পাশাপাশি তদন্ত চলাকালীন ভিতরের খবর দেওয়ার জন্য এক বিচারপতিকে বড় চাকরির টোপ দেন সারকোজি। সেই মামলাতেই সোমবার প্যারিসের একটি আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দেয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী চার বছরের কারাদন্ড দাবি করেন। তবে সেই আর্জি টেকেনি। ফ্রান্সের নিয়ম অনুযায়ী ২ বছর বা তার বেশি সাজা হলে [বিস্তারিত...]

মুম্বাইয়ের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পিছনে চীনা হ্যাকার!!!

মুম্বাইয়ের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের পিছনে চীনা হ্যাকার!!! সংলাপ ॥ জল্পনা আগেই ছড়িয়েছিল। এবার মিলল বেসরকারি স্বীকৃতি। সীমান্ত নিয়ে নয়াদিল্লি-বেজিং সংঘাতের আবহে ভারতের পাওয়ার গ্রিডের উপর হামলা চালিয়েছে চীনের একদল হ্যাকার। তাদের সঙ্গে চীনা সরকারেরও যোগাযোগ রয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল এক মার্কিন সংস্থা। আর তারপরেই গত বছর মুম্বই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। প্রশ্ন, তবে কি গত অক্টোবরে অনলাইনে হানা দিয়েই হ্যাকাররা মুম্বইয়ে অন্ধকার নামিয়ে এনেছিল? বিভিন্ন দেশের নাগরিক ও সংস্থার ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে গবেষণা চালায় মাসাচুসেটসের ‘রেকর্ডেড ফিউচার’ নামে এক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা। চীনের সঙ্গে যোগসাজশ থাকা ‘রেডইকো’ নামে এক সংস্থা প্রচার চালাচ্ছিল, ভারতীয় পাওয়ার সেক্টরকে তারা টার্গেট করেছে। রেডইকোর কার্যকলাপ ও সক্রিয়তা নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা চালায় রেকর্ডেড ফিউচার। তারা সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানেই ভারতের পাওয়ার গ্রিডের উপর চীনা হ্যাকার হানার তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন সংস্থা জানিয়েছে, চীন সরকারের মদতে সে দেশের হ্যাকাররাই ওই বিভ্রাট ঘটিয়েছিল। ২০২০ সালে গলওয়ানে ভারতীয় সেনার [বিস্তারিত...]

ডিসেম্বরে মেট্রোরেল চালু করতে চলছে শেষ ধাপের কাজ

ডিসেম্বরে মেট্রোরেল চালু করতে চলছে শেষ ধাপের কাজ সংলাপ ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেই মেট্রোরেল লাইন-৬ এর একাংশ চালু করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এরই মধ্যে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সেগমেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ফলে দৃশ্যমান হয়েছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই অংশের কাজ আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এর পরই চালু হবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। অন্যদিকে প্রকল্পের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে পূর্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫১ দশমিক ২৬ শতাংশ। মেট্রোরেল লাইন-৬ এর কাজ যখন শুরু হয়েছিল তখনই বলা হয়েছিল, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম মেট্রোরেল লাইন-৬ এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সরকার এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এনে জানিয়েছিল মেট্রোরেল প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়ার পর ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত একসঙ্গে মেট্রোরেল চালু [বিস্তারিত...]

আলজাজিরায় প্রচারিত ডকুড্রামার বিশ্লেষণ এবার কাটুক অন্ধকার....

সত্যদর্শী ॥ কোন কিছুর সত্য জানতে হলে পুরো প্রেক্ষাপটকে ধরেই এগুতে হয়। মহান সাধক আনোয়ারুল হক এঁর অমৃত কথা ‘দর্শন- উপলব্ধিতে হয় সত্য, অন্যের কথায় নয়’ । জগৎ-সংসারে কোন কিছুই অযাচিত নয়, হঠাৎ ঘটে না। কারণের কারণ থাকে। ঘটনার নেপথ্যে থাকে ঘটনার উপযোগিতা। একটি বোমা বিস্ফোরিত হলে আমরা শব্দ শুনতে পাই, বোমাটির শক্তি, ক্ষয়-ক্ষতি, বিস্ফোরণের কারণ জানতে পারি। কিন্তু অনুসন্ধানে ধরা পরে পুরো বিষয়টির সত্য। যা আমাদেরকে নিয়ে যায় সেই সত্যের কাছে, যে সত্যের নেপথ্যে একটি গোষ্ঠীগত স্বার্থ, সক্ষমতা, চরিত্র লাভ কিংবা সুদূরপ্রসারী কোন প্রাপ্তি যোগ রয়েছে। আমরা আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে, অশান্ত অস্থির মনোভাবের কারণে কোন কিছুর গভীরে প্রবেশ করতে পারি না বলে হুজুগ, গুজব, বিভ্রান্তি, অতি কাল্পনিক, গাল গল্পে মশগুল হয়ে পড়ি। সত্য চোখের সামনে এসে আবার মিলিয়ে যায়। লালন ফকির ভণিতায় এসে বারবার নিজেকে ভেড়ো স্বভাবের সাথে তুলনা করে প্রকারান্তরে বাঙালি চরিত্রের গভীর ক্ষত দিকটিই তুলে [বিস্তারিত...]

এই সপ্তাহে….

* ১৪২৮ : সত্যানুসন্ধানী হয়ে দেশ গড়ার সময়

* প্রবাহ

 

সত্য সন্ধানে সংলাপ